নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: একটি পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী চিতার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মেটেলি ব্লকের কিলকোট চা বাগানের কুঞ্জ লাইনের বাড়া নদী এলাকায়।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে স্থানীয়রা নদীর পাশে ওই চিতার দেহ দেখতে পায়। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ভিড় উপচে পরে বহু মানুষের। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন খুনিয়া স্কোয়াডের বনকর্মীরা। তাঁরা এসে চিতাবাঘের দেহ নিয়ে যায়। সেটিকে ময়নাতদন্তের জন্য এদিন গরুমারায় নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয়দের অনুমান, ওই এলাকায় কয়েকটি চিতার লড়াই হয়। লড়াইয়ে স্ত্রী চিতার মৃত্যু হয়। মৃত চিতাটির পেটের মাংস কাটা ছিল। ওই এলাকায় চিতার মাংস ও বহু পায়ের ছাপ ছিল। তবে, বন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই ১৬ তারিখ দুপুর নাগাদ আলিপুরদুয়ারের কালচিনির রাজাভাত চা বাগানের দুই নম্বর সেকশনের নালায় মৃত চিতার দেহ দেখতে পান চা বাগান শ্রমিকরা। অভিযোগ ওঠে, রহস্যজনক ভাবে ওই লেপার্ডের লেজের বেশির ভাগ অংশ কেউ বা কারা কেটে নিয়ে গিয়েছে।
তারও আগে চলতি মাসের ১০ তারিখ বৃহস্পতিবার সকালে আলিপুরদুয়ার জেলার ৪৮ নম্বর এশিয়ান হাইওয়ের মাদারিহাট ও হাসিমারার মাঝখানে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় একটি লেপার্ড ক্যাটের। ঘটনার পর স্থানীয়রা এসে ভিড় জমান সেখানে, খবর দেওয়া হয় বন দপ্তরে। কিন্তু জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন ওই এলাকায় বনকর্মীরা পৌঁছানোর আগেই রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে যায় মৃত শাবকটির দেহ। উধাও হয়ে যাওয়া ওই বন্য প্রাণীটির মৃতদেহ খুঁজে বের করার জন্য ময়দানে নামে বন দপ্তরের অভিজ্ঞ এই দুই গোয়েন্দা কুকুর রাণী ও টফি (জার্মান শেফার্ড)। দুর্ঘটনাস্থলের কাছে হলং বাজারের লোকালয়ে চলে চিরুনি তল্লাশি,। তারপরেও রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে যাওয়া লেপার্ড ক্যাটটির কোন হদিস করতে পারেননি বন দপ্তরের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বনকর্মীরা ।

No comments:
Post a Comment