নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর: তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন ও নকশাল শ্রমিক সংগঠনের সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গঙ্গারামপুরের একটি তেল উৎপাদন কারখানায়। শনিবার এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় গঙ্গারামপুর থানার নারই এলাকায়। আন্দোলনকে ঘিরে ভেঙে দেওয়া হয় সংগঠনের কার্যালয় ও মোটরবাইক। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় চেয়ার টেবিল সহ অন্যান্য সামগ্রীতে। এমনকি কয়েক রাউন্ড গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ জন। তাদের চিকিৎসা চলছে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।
ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গঙ্গারামপুর থানার IC পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু সহ বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ। চলছে পুলিশি নজরদারি। জানা গেছে বেতন বৃদ্ধি ও ছাটাই হওয়া এক কর্মীকে পুনরায় নিয়োগের দাবীতে গত মঙ্গলবার থেকে গঙ্গারামপুর ফুলবাড়ী নারই এলাকায় অবস্থিত তেল উৎপাদন কারখানা কল্যাণী সলভেক্স-এর সামনে বিক্ষোভে সামিল হয় নকশাল(SUCI) শ্রমিক সংগঠন, যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় তেল কারখানা বলে অভিযোগ। এরই মাঝে শনিবার কারখানার মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে কারখানা খুলতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এর জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। ঘটনায় নকশাল শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তাদের একটি মোটরবাইক ভাংচুর সহ চেয়ার টেবিলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ তোলেন নকশাল শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা। এদিন এমন ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গঙ্গারামপুর থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুমার কুন্ডু সহ বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ। এমন ঘটনার পরে মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে কারখানা খুলে দেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা।
অপরদিকে নকশাল শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা শহীদুল ইসলাম বলেন, নকশাল শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা নিজেরাই নিজেদের কার্যালয়ে ভেঙ্গে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।' তিনি আরও বলেন, লকডাউনের কারণে অনেকেরই আর্থিক অবস্থা খারাপ। এমতাবস্থায় কারখানা বন্ধ থাকলে তাদের আরও চরম সমস্যায় পড়তে হবে। সেই কারণে তারা মালিক কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে কারখানা খুলতে গেলে নকশাল শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ।

No comments:
Post a Comment