ভোটের জন্য বারুদের স্তূপ তৈরি করছে তৃনমূল; ফের বিস্ফোরক দিলীপ - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 15 December 2020

ভোটের জন্য বারুদের স্তূপ তৈরি করছে তৃনমূল; ফের বিস্ফোরক দিলীপ


নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: 'এরাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের সাহায্যে বাংলায় ঢুকছে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা। ভোটের জন্য বারুদের স্তূপ তৈরি করছে তৃনমূল।' মঙ্গলবার বিকেলে মালদার মানিকচকের মথুরাপুর এলাকায় জনসভায় শাসকদল তৃণমূলকে এভাবে তুলোধনা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। 

এদিন মানিকচকের মথুরাপুরের জনসভায় দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু , জেলা সভাপতি গোবিন্দ মন্ডল সহ অন্যান্য নেতারা । প্রথমে সায়ন্তন বসু বক্তব্য রাখতে গিয়ে আক্রমণাত্মক ভাষায় তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেন ।

এদিনের সভায় দিলীপ ঘোষ বলেন, 'তৃণমূল বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট করতে দেয়নি। বিজেপি কর্মীদের খুন করেছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটে জবাব দিয়েছে মানুষ। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুট করেছে তৃণমূল। আম্ফা‌নের ক্ষতিপূরণের টাকায় স্বজনপোষণ হয়েছে। দুয়ারে সরকার করে লাভ নেই ওটা যমের দুয়ারে চলে গিয়েছে।'

এরপর দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'সারাদেশ জঙ্গিমুক্ত হয়েছে। উগ্রপন্থী ক্রিয়া-কলাপ বন্ধ হয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার কড়াকড়ি করছে।  লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে আসছে। তাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই সারা ভারতবর্ষে যখন উগ্রপন্থী নেই, পশ্চিমবঙ্গের তখন উগ্রপন্থী ধরা পড়ছে।  কলকারখানা নেই , কাজ নেই। উল্টে অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এই সরকার যতদিন থাকবে পরিবর্তন হবে না। সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিবর্তন হবে।' 

গরু পাচার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, গরু পাচার অনেকদিন ধরে একটা বড় সমস্যা ছিল। আর হাজার হাজার কোটি টাকা এর সঙ্গে লেনদেন হত। তার মধ্যে মালদা একটা বড় করিডোর । এখন কয়েক মাস ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের হোম ডিপার্টমেন্ট পদক্ষেপ নিয়েছে, যার ফলে গোরু পাচার কমেছে এবং দোষীরা ধরা পড়ছে । বহু তথ্য আমরাও পাঠিয়েছি । সরকারের কাছে তথ্য আছে। ধীরে ধীরে কাজ শুরু হয়েছে । তার মধ্যে যারা যারা যুক্ত রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ, বিএসএফ সরকারি কর্মী কাউকে ছাড়া হবে না, কাটগড়ায় আসতে হবে । 

রান্নার গ্যাস প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'রান্নার গ্যাস, পেট্রোল, ডিজেল এগুলো আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে কম বেশি হয় । এগুলো কখনও বাড়ে, আবার কখনও কমে । কিছুদিন আগে বেড়েছিল, আবার তা কমবে।' 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad