নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ দিনাজপুর: একদিকে যেমন রাজ্য সরকারের তরফে উপাচার্য্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। অন্যদিকে তেমনি বালুরঘাট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মান কাজ শুরু হয়েও অজ্ঞাত কারনে ত্থমকে রয়েছে। যদিও ত্থমকে থাকা নির্মান কাজ ফের তাড়াতাড়ি চালু হবে এই আশাতেই বুক বাধছেন জেলাতে। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য লড়াই আন্দোলন চালিয়ে আসা প্রত্যুষ সাহিত্যিক পত্রিকার সম্পাদক কৃষনপদ মন্ডল ও জেলার সাধারন বাসিন্দারা।
১৯৯২ সালে অবিভক্ত পশ্চিম দিনাজপুর ভেঙ্গে দক্ষিন দিনাজপুর জেলা গঠিত হওয়ার পর থেকেই জেলার শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও শিক্ষানুরাগীদের তরফে জেলার সর্বশ্রেনীর ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষৎ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠবার জন্য একটি পুর্নাংগ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি ওঠে। কিন্তু দীর্ঘ প্রায় দুবছর কম তিন দশক পর এসে রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। কিন্তু সবুজ সংকেত পাওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় স্থাপিত হবে সে নিয়ে জেলার শাসক দলের রাজনৈতিক মহলের অভ্যন্তরীন টানপোড়নে তার জমি নির্ধারন করতেই প্রায় একবছর পার হয়ে যায়। যদিও শেষ মেষ বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী বালুরঘাটেই বিশ্ব বিদ্যালয় হবে জানিয়ে দেওয়ায় খুশির হাওয়া জেলার শিক্ষানুরাগী ও সাহিত্যিক মহলে।
বালুরঘাট মাহিনগরে জেলা কৃষি ট্রেনিং সেন্টারের ঠিক পেছনেই বালুরঘাট বিমানবন্দরে যাওয়ার রাস্তার ধারে এই বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসন প্রায় ১১ একর জমি বরাদ্দ করে। এছাড়াও বিশ্ব বিদ্যালয় পরিকাঠামো গঠনের জন্য ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফে প্রাথমিক ভাবে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেই টাকা বরাদ্দ ঘোষনা হওয়ার পর কাজ শুরু করে দেওয়ার জন্য টেন্ডার হয়। আর তারপরেই বর্ষার মধ্যেই তড়িঘড়ি এই জমিতে নির্মান কাজ শুরু করে দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক দিন কয়েকটি মাত্র অর্ধ নির্মিত লোহার পিলার নির্মান কাজ শুরু হওয়ার পর তা অজানা কারনে আজ অবদ্ধি বন্ধ রাখা হয়েছে।অথচ এর মধ্যে বিশ্ব বিদ্যালয়ের কোন পরিকাঠামো না গড়ে ওঠা সত্বেও রাজ্য সরকারের তরফে এই বালুরঘাট বিশ্ব বিদ্যালয়ের জন্য উপাচার্য্য হিসেবে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপিকা সঞ্চারি রায় মুখোপাধ্যায়কে নিয়োগ সেরে ফেলা হয়েছে।
যদিও জেলায় একটি বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপিত করবার ব্যাপারে দীর্ঘদিন একাই লড়াই চালিয়ে আসা বালুরঘাটের সাহিত্যিক প্রত্যুষ পত্রিকার সম্পাদক কৃষ্ণপদ মন্ডলের আশা কাজ শিঘ্রই ফের শুরু হবে।পাশাপাশি তার আরও দাবি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা দেখেছি পরিকাঠামো না থাকলেও প্রথমে অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন পাঠন শুরু হয়। পরে বিল্ডিং গড়ে উঠলে সেখানে উঠে যায় সেই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি। এভাবেই সব শুরু হয়ে থাকে। তা ছাড়া এখানে কৃষি ট্রেনিং সেন্টারেও প্রচুর ক্লাস রুম রয়েছে সেখানেও জেলাতে বিশ্ব বিদ্যালয় শুরু করে দেওয়া যেতে পারে বলেই আশা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি নির্মান কাজ চলার জায়গায় দাঁড়িয়ে জেলার দুই শিক্ষানুরাগী জানিয়েছেন জেলার ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার স্বার্থে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হওয়ার ফলে তারা ভীষন ভাবে উপকৃত হবে।তাদের আর উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরের জেলায় পাঠাতে হবেনা। তাদের প্রশাসনের কাছে দাবি সেদিকে তাকিয়েই দ্রুত বিশ্ব বিদ্যালয়ের থমকে থাকা নির্মান কাজ শুরু করে দেওয়া উচিত।
২০২০ শেষ হতে মাত্র আর কয়েক দিন। আসছে নতুন বছর ২০২১। নতুন বছরে দ্রুত এই নতুন বিশ্ব বিদ্যালয় নির্মান কাজ শেষ করে পঠন পাঠান শুরু হয় কিনা সে দিকে তাকিয়েই জেলার শিক্ষানুরাগী থেকে ছাত্র ছাত্রী মহল।
No comments:
Post a Comment