নিজস্ব সংবাদদাতা, উওর ২৪ পরগনা: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে পৌরসভার গেট আটকে বিক্ষোভ মহিলাদের, শাসকের নতুন কৌশলে কাটমানি খাবার প্রক্রিয়া, দাবী বিরোধীদের।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা আত্মসাৎ করে পালানোর অভিযোগ তুলে অশোকনগর-কল্যানগর পৌরসভার মূল গেট আটকে মহিলাদের বিক্ষোভ। পৌরসভায় আটকে পুরপ্রশাসক সহ পুরসভার বোর্ডের সদস্যরা।বিক্ষোভকারীদের দাবী, অশোকনগর কল্যানগর পৌরসভার আর ও(R.O)রত্না ঘোষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছে, তাই তাকে অবিলম্বে টাকা ফেরত দিতে হবে এবং পৌরপ্রশাককে এর দ্বায়িত্ব নিতে হবে। বিক্ষোভ চলাকালীন প্রশাসক বোর্ডের সদস্য অনুপ রায় পৌরসভায় ঢুকতে গেলে তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। কিছু সময় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরেন। ২০১১সালে মহিলাদের স্বনির্ভর করতে অশোকনগর কল্যানগর পৌরসভায় তৈরী হয় ৬৯ টি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী।
অভিযোগ, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ২১ টি গোষ্ঠীর প্রায় ২১ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভা মনোনীত আর ও রত্না ঘোষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা একদিকে তাদের জমানো মাসিক টাকা অন্যদিকে গোষ্ঠীর মাধ্যমে ব্যাংক থেকে বিভিন্ন অ্যামাউন্টের যে লোন নিয়েছিলেন সেই লোনের টাকা প্রতি মাসে ব্যাংকে জমা না দিয়ে আর ও(রত্না ঘোষ)-এর কাছেই জমা দিতেন যেহেতু গোষ্ঠীর সর্বোচ্চ আসনে তিনি বসতেন তাই তাকে বিশ্বাস করে সমস্ত টাকা তার কাছে জমা দেওয়া হতো। কিন্তু সেই টাকা রত্না ঘোষ ব্যাংকে পরিশোধ না করে তিনি নিজেই সমস্ত টাকা বেশ কয়েক বছর ধরে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। হঠাৎ ব্যাঙ্ক থেকে টাকার জন্য চাপ দিতেই হুঁস ফেরে সকলের। ঘটনার পর থেকে পলাতক রত্না। তারপর থেকেই বিভিন্ন সময় অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভা প্রাক্তন পৌরপ্রধান তথা বর্তমান পুরপ্রশাসক প্রবোধ সরকার এবং পুরসভার বোর্ডের অন্যতম সদস্য অনুপ রায়ের কাছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বারংবার যাবার পরেও তারা আশ্বস্ত করেছিলেন কিন্তু কোন রকম ভাবে তাদের লাভ হয়নি বরং ব্যাংক থেকে টাকা পরিশোধের জন্য ইদানিং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বারংবার চাপ দিচ্ছেন এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সকলকে। তাই পুরপ্রশাসকে হস্তক্ষেপ চেয়ে ঘন্টা তিনেক ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভায়।
এই নিয়ে পুর প্রশাসক প্রবোধ সরকার জানান, টাকা জমা দেওয়ার কথা ব্যাংকে কিন্তু তারা সেই টাকা রত্নার হাতে কেন দিয়েছেন? তবুও সকলের কথা ভেবে আমরা আমাদের মতো করে যথেষ্ট চেষ্টা করেছি, কিন্তু বর্তমান যা পরিস্থিতি পড়ছে তারা পৌরসভার গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তাই আইন আইনের পথে চলবে আমরা কোন রকম ভাবে দায়িত্ব নিতে পারবো না।' তবে এই নিয়ে বলতে পিছু ছাড়েনি বিরোধী শিবির, প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা চিত্তরঞ্জন বিশ্বাস জানান, শাসকদলের কাটমানি খাবার এটা নতুন কৌশল। যিনি টাকা মেরেছে তিনিও শাসক দলের নেত্রী। তাই সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন কিভাবে এই বিষয়ে সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন এবং এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সমস্ত টাকা ফেরত দেয়া উচিৎ।

No comments:
Post a Comment