প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: মধ্য প্রদেশে লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে বিলটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেয়েছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সভাপতিত্বে আজ একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে মন্ত্রিসভা ধর্মীয় স্বাধীনতা বিল-২০২০ পাস করেছে।
এখন এই বিলটি বিধানসভায় উপস্থাপন করা হবে। ২৮ ডিসেম্বর থেকে এমপিতে বিধানসভা অধিবেশন শুরু হচ্ছে। লাভ জিহাদ মামলায় সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে এবং এক লক্ষ টাকার জরিমানার বিধানও রাখা হয়েছে। এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত মামলাগুলি জামিনযোগ্য হবে না। এই আইনটি অস্তিত্বে আসার সাথে সাথেই 'মধ্য প্রদেশ ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন ১৯৬৮' বাতিল হয়ে যাবে।
গত মাসে শিবরাজ সিং চৌহান কর্মকর্তাদের বৈঠকে লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে আইন আনার কথা বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী চৌহান বলেছিলেন যে লাভ জিহাদের এবং বিয়ের জন্য ধর্ম পরিবর্ত
ন কোনও রূপেই রাজ্যে কার্যকর হবে না। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ।
● ধর্ম পরিবর্তনে সর্বনিম্ন এক বছর এবং সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং কমপক্ষে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
● নারী / নাবালিকা / তফসিলী উপজাতির ধর্ম পরিবর্তনের জন্য সর্বনিম্ন দুই বছর এবং সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকার জরিমানার বিধান রয়েছে।
● নিজের ধর্মের সত্যতা লুকিয়ে ধর্ম পরিবর্তনে সর্বনিম্ন তিন বছর এবং সর্বোচ্চ দশ বছর কারাদণ্ড এবং কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
● সার্বজনীন ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য সর্বনিম্ন পাঁচ বছর এবং সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড এবং কমপক্ষে এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
● একাধিকবার ধর্ম পরিবর্তনের জন্য সর্বনিম্ন পাঁচ বছর এবং সর্বোচ্চ দশ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
● পৈতৃক ধর্মে প্রত্যাবর্তন এই আইনে ধর্ম রূপান্তর হিসাবে বিবেচিত করা হয় নি। জন্মের সময় পিতার যা ধর্ম ছিল, তাকে পৈতৃক ধর্ম বলা হয়েছে।
● নিজের ইচ্ছায় ধর্ম পরিবর্তন করা ব্যক্তি বা তাঁর ধর্ম পরিবর্তন করানো ব্যক্তিকে ধর্ম পরিবর্তনের ৬ দিন আগে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা প্রয়োজন।
● জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ৬ দিন আগে জানানো না হলে কমপক্ষে তিন বছর, সর্বোচ্চ পাঁচ বছর এবং পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।

No comments:
Post a Comment