প্রেসকার্ড ডেস্ক: 'ধীরাজলাল হীরালাল আম্বানি' যিনি বেশিরভাগ ধীরুভাই আম্বানি নামে পরিচিত। তাঁর নাম শুধু দেশে নয় বিদেশেও বেশ জনপ্রিয়। ধীরুভাই আম্বানি ব্যবসায় জগতে অ-অখ্যাত রাজা হিসাবে পরিচিত। তিনি তাদের মধ্যে ছিলেন যারা কেবল স্বপ্নই দেখেননি, তা পূরণও করেছেন। তিনি বিশ্বকে বলেছিলেন যে, কোনও ব্যক্তির ইচ্ছা থাকলে তিনি কী করতে পারে। তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে যাঁরা স্বপ্ন দেখার সাহস করেন তারা পুরো বিশ্বকে জয় করতে পারেন। তিনি শিল্পের ক্ষেত্রেও ভারতকে একটি নতুন পরিচয় দিয়েছেন। আসুন তাঁর জীবন সম্পর্কিত কিছু বিশেষ বিষয় সম্পর্কে আপনাদের জানা যাক। লোকেরা এই সময় তার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন, কারণ দেশের ধনী পরিবারটি একটি নতুন উত্তরাধিকারী হয়েছে, যার পরে এই সংবাদটি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব জনপ্রিয়।
ধীরুভাই আম্বানির বাবার নাম কী?
ধীরুভাই আম্বানির জন্ম ১৯৩২ সালের ২৩ ডিসেম্বর গুজরাটের একটি ছোট্ট গ্রামে হয়েছিল। তাঁর মা ছিলেন গৃহস্থালি মহিলা এবং পিতা গোরধন আম্বানি একজন সাধারণ শিক্ষক। এ সময় তার পরিবার হতে থাকার।আর তার বাবার চাকরির অর্থটি বাড়ির ব্যয় মেটাতে পারছিল না।
এর আগে ধিরুভাই আম্বানি কী করেছিলেন?
ধীরুভাই আম্বানিকে পড়াশোনা মাঝপথে ছেড়ে যেতে হয়েছিল। তিনি এরপর ছোটখাটো কাজ শুরু করলেন। পরে তিনি গুজরাটের বাসিন্দা কোকিলা বেনকে বিয়ে করেন।
ধিরুভাই আম্বানির পরিবার
ধীরুভাই আম্বানির চারটি সন্তান রয়েছে। মুকেশ আম্বানি এবং অনিল আম্বানি এবং কন্যা দীপ্তি আম্বানি ও নিনা আম্বানি। মুকেশ আম্বানির তিনটি সন্তান রয়েছে। দুই ছেলে ও এক মেয়ে। দুই ছেলের নাম আকাশ আম্বানি ও অনন্ত। মেয়ের নাম ইশা আম্বানি।
ব্যবসা নিজেই উত্থাপন
প্রাথমিকভাবে ধীরুভাই প্রথমে বাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে ফল এবং স্ন্যাক্স বিক্রি শুরু করেছিলেন, তবে এই কাজ বেশি দিন চলতে পারেনি। পরে বাবার নির্দেশে চাকরি শুরু করেন তিনি। তিনি ধীরে ধীরে ব্যবসায়ের জগতে পা রাখেন,এরপর একের পর এক সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ওঠেন তিনি। লক্ষণীয় বিষয়, ১৯৬৬ সালে তিনি মহারাষ্ট্রে রিলায়েন্স কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

No comments:
Post a Comment