প্রেসকার্ড ডেস্ক: বনবিভাগের জন্য এই হাতি কোনও বড় ঝামেলার চেয়ে কম নয়। কুম্ভ মেলায় হাতির কারণে যাতে কোনও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটে, সে লক্ষ্যে বন বিভাগ ও মেলা প্রশাসন সব ধরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বন্য হাতি প্রতিরোধে গৃহপালিত হাতিও আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। এটি কুম্ভ মেলায় খুব কার্যকর বলে প্রমাণিত হবে।
হাতি প্রতিরোধে প্রাচীর তৈরি হচ্ছে
কুম্ভ মেলা এলাকার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ রাজাজি টাইগার রিজার্ভ । এই দিনটিতে বন্য হাতির ঝামেলা রয়েছে। এ সম্পর্কে কুম্ভ মেলার আগে বন বিভাগ বড় আকারে প্রস্তুতি নিচ্ছে। বন বিভাগ হাতি অন্তরণ দেওয়ালের পাশাপাশি সৌর বেড়াও তৈরি করছে।
দলগুলি টহল অব্যাহত রাখবে, বন বিভাগের রেঞ্জার দীনেশ ননদিয়াল বলছেন যে, দেওয়র ও ফেন্সিং ছাড়াও বেশ কয়েকটি দল গঠন করা হয়েছে, যা ধারাবাহিকভাবে টহল অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেছেন যে, অনেক বন্য হাতিও কোলাড হয়ে গেছে, যাতে তাদের আগমন ও তথ্য সম্পর্কে তথ্য রাখা যায়। বন বিভাগ কর্তৃক অনেকগুলি নতুন পোস্টও তৈরি করা হয়েছে, যা পার্কে বসবাসরত কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করবে। অবিচ্ছিন্ন বিজ্ঞপ্তিগুলি হাতির চলাফেরার বিষয়ে ভাগ করা হবে।
পোষা হাতিদের সাহায্য নেওয়া হবে
দীনেশ ননদিয়াল আরও বলেছেন যে, বন্য হাতিদের থামাতে গৃহপালিত হাতিরও সাহায্য নেওয়া হবে, কারণ এমন অনেক অঞ্চল রয়েছে যেখানে যানবাহন যেতে পারে না। এ জাতীয় অঞ্চলে বন বিভাগগুলি গৃহপালিত হাতির সাহায্য নেবেন। গৃহপালিত হাতিগুলি পার্কে টহল দেওয়ার সময় সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হাতির উপর নজরদারি করা বেশ সহজ। গার্হস্থ্য হাতি বন বিভাগের জন্য সর্বদা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
ক্যামেরা বসানো হবে
কুম্ভ মেলার কর্মকর্তা দীপক রাওয়াত বলেছেন যে, কুম্ভ মেলায় বন বিভাগের প্রচুর জমি ব্যবহৃত হয়। যে জমি ব্যবহৃত হয় না তা পার্কের সাথেও সংযুক্ত থাকে। হাতিগুলি বন থেকে বেরিয়ে আবাসিক অঞ্চলে আসার প্রক্রিয়া অবিচ্ছিন্নভাবে চলছে। মেলার সময় এটির দৃষ্টি আকর্ষণ করা দরকার। মেলা অঞ্চলে অনেক জায়গায় ক্যামেরা বসানো হবে, যাতে হাতিদের আগমন সম্পর্কিত তথ্য কন্ট্রোল রুমে উপলব্ধ হয়। হাতি ঠেকাতে জোরদার ব্যবস্থা করা হবে।

No comments:
Post a Comment