বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও গোবিন্দার ভাগ্নের প্রেমে পড়ে ছিলেন এই অভিনেত্রী

 

প্রেসকার্ড ডেস্ক: মডেল ও নৃত্যশিল্পী কাশ্মিরা শাহ তার ৪৯ তম জন্মদিন উদযাপন করছেন। ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণকারী কাশ্মিরা হলেন গোবিন্দের ভাগ্নে কৃষ্ণা অভিষেকের স্ত্রী। দুজনের প্রেমের গল্প শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। জয়পুরে 'অর পাপ্পু পাস হো গয়া' ছবির শুটিং চলাকালীন তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। এর আগে চিত্রনায়ক ব্র্যাড লিস্টারম্যানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ কাশ্মিরা, একে প্রথম দর্শনেই ভালোবাসা বলে অভিহিত করেছেন।

তারা রাত থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত কথা বলতেন

কৃষ্ণার সাথে কাশ্মিরা তাঁর প্রথম ডেটের কথা স্মরণ করে বলেছিলেন, "জয়পুরের ছবির শ্যুটিংয়ের পরে আমরা দুজনেই ফাঁকা ছিলাম। এই সময়ে কৃষ্ণাকে আমি হোটেলে দেখেছিলাম,তারপর তাকে একসাথে ডিনারে ডাকি"।

কাশ্মীরা বলেন,"এই সভার আগে আমরা সাধারণ বন্ধু ছিলাম। তবে আমরা যখন রাতের খাবারের সময় একে অপরকে ঘনিষ্ঠভাবে জানতে পারি, তখন আমরা বুঝতে পারি যে, আমাদের মধ্যে কিছু অন্যরকম ব্যাপার ছিল। আমরা দুজনেই সেই রাত সকাল সাতটা পর্যন্ত কথা বলছিলাম। "

... এবং তারপরে প্রেমিক হয়ে উঠল

জয়পুরে তাদের প্রথম সাক্ষাতের পরে দু'জনের বন্ধুত্ব হয়েছিল। মুম্বই তাদের আগমনের পরেই দুজনের সম্পর্ক মিডিয়ায় দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। ২০০৭ সালে কাশ্মিরা ব্র্যাড লিস্টারম্যানকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন তখন তাদের সম্পর্ক সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছিল। সকলেই ভেবেছিলেন যে এটি কৃষ্ণা। তবে কাশ্মীরীরা তা বিশ্বাস করেন নি। তিনি এই সম্পর্ক ভাঙ্গার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। দীর্ঘ লিভ-ইন সম্পর্কের পরে ২০১৩ সালে কাশ্মিরা ও কৃষ্ণার বিয়ে হয়েছিল।

সারোগ্যাসিতে বাবা-মা হয়েছেন

কৃষ্ণা ও কাশ্মিরা মে ২০১৭ সালে যমজ ছেলের বাবা-মা হয়েছেন। বাচ্চাদের জন্ম হয়েছিল সারোগ্যাসিতর মাধ্যমে। বাচ্চাদের জন্মের পরে, কাশ্মিরা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, "আমি পরিবার পরিকল্পনার জন্যও নিজের কাজ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছি এবং বহু বছর ধরে গর্ভধারণের চেষ্টা করেছি কিন্তু তা ঘটেনি। প্রাকৃতিকভাবে যখন আমি গর্ভবতী হতে পারিনি, তখন আমি আইভিএফ কৌশলটিও ব্যবহার করি ।আপনি বিশ্বাস করবেন না যে, আমি ১৪ বার গর্ভবতী হতে ব্যর্থ হয়েছি । আমার স্বাস্থ্যও খারাপ ছিল I

এই ছবিগুলিতে কাজ করেছেন কাশ্মিরা

১৯৯৬ সালে আইটেম নম্বর দিয়ে কাশ্মিরা তেলেগু অভিষেক করেন। এর পরে এ বছর 'ইয়েস বস' ছবিতে তিনি একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পরে 'প্যাযার তো হোনা হাই থা (১৯৯৮)', 'হিন্দুস্তান কি কাসাম, 'হেরাফেরি (১৯৯৯)', আঁখে (২০০২), খুন (২০০৪) এবং 'ওয়েকআপ সিড (২০০৯)' এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন।