প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: শনি গ্রহ সম্পর্কে জ্যোতিষ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের উভয়েরই আলাদা ধারণা রয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের মতে, বৃহস্পতির পরে শনি আকারে দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। দেখতে আকাশে হলুদ নক্ষত্রের মতো লাগে। এর মাধ্যাকর্ষণ জলের চেয়েও কম। শনির প্রায় ৮২ টি উপগ্রহ রয়েছে। অর্থাৎ, তাঁর চাঁদের মতো ৮২ টি চাঁদ রয়েছে। শনির বৃহত্তম উপগ্রহ হল টাইটান। এটি বুধ গ্রহের আকারের সমান। এটি ছাড়াও এখানে ফোবো, ইউরোপা ইত্যাদি উপগ্রহ রয়েছে ফোবো বিপরীত দিকে ঘোরে।
শনির চারপাশের রিংটি দূর থেকে নীল দেখায়। বিজ্ঞানীরা এখনও এই রিংটি সম্পর্কে অবাক হন, যে এই রিংটি কি জিনিস দিয়ে নির্মিত। কথিত আছে যে এই রিংটি অবশ্যই এর চারপাশে ছোট ছোট কণা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা বলেছেন যে এর বায়ুমণ্ডলে একটি বায়বীয় কাঠামো রয়েছে যার মধ্যে হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম গ্যাস রয়েছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের মতে, শনির ব্যাস পৃথিবীর ব্যাসের চেয়ে ৯ গুণ বেশি, যেখানে ঘনত্ব ৮ গুণ কম। এটির নিরক্ষীয় ব্যাসটি ১২০.৫৩৬ কিমি। নিজের অক্ষে ঘোরার জন্য শনির ১০ ঘন্টা ৩৪ মিনিট সময় লাগে। কথিত আছে যে শনিতে প্রায় ৭৬৩ টি পৃথিবী ফিট হতে পারে। এর এক বছর পৃথিবীর ২৯.৪৫ বছরের সমান।
No comments:
Post a Comment