প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: পরের বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবিরটি বিদ্রোহের সাক্ষী হতে দেখা যাচ্ছে। জনপ্রিয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বিদ্রোহী সুর দেখিয়ে নন্দীগ্রাম দিবসে টিএমসি থেকে আলাদা সমাবেশ করেছিলেন। তার জনসভায় তিনি ভারত মাতা কি জয়ের স্লোগানও দিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনের মরসুমে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে চমকে দিতে পারেন।
শুভেন্দু অধিকারীর সমাবেশে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও রাখা হয়নি। পোস্টার থেকে মমতার ছবি উধাও হওয়ার পরে রাজ্যের রাজনীতিতে আলোড়ন তীব্র হয়েছিল। এর পরে প্রদেশের চার মন্ত্রী মমতা মন্ত্রিসভার বৈঠকে পৌঁছায়নি, যার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী, রাজিব বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম দেব এবং রবীন্দ্র ঘোষের নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বিদ্রোহ দেখার পরে এখন মমতা সরকার শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ তিন নেতার সুরক্ষা তুলে নিয়েছে। এগুলি ছাড়াও জেলা পরিষদ সভাপতির নিরাপত্তাও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে টিএমসির দ্বিতীয় জনপ্রিয় নেতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের স্থপতি হিসাবেও বিবেচিত হন। বিশেষ বিষয় হল শুভেন্দু প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে জড়িত আছেন।
শুভেন্দু পশ্চিমবঙ্গ সরকারে মন্ত্রিপরিষদের মর্যাদার অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর বাবা ও ভাইও সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছেন। আধিকারিক পরিবারটির প্রভাব বাংলার ৫০ টি বিধানসভা আসনে রয়েছে বলে মনে করা হয়।
No comments:
Post a Comment