ভাস্কর বাগচী, শিলিগুড়ি : শনিবার এক মাসের জন্য পাহাড় সফরে এলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। পাহাড় রাজনীতির নতুন সমীকরণের মাঝে রাজ্যপালের এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন সন্ধ্যায় বিশেষ ট্রেনে করে তিনি এনজেপি স্টেশনে পৌঁছন। শিলিগুড়িতে স্টেট গেস্ট হাউসে রাত কাটিয়ে রবিবার সকালে তিনি দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
এনজেপিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল নির্বাচন পরিচালনা ও আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উঁচুতলার কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ' সরকারি কর্মচারী কখনই রাজনৈতিক প্রভাবিত হয়ে কাজ করতে পারেন না। কিন্তু রাজ্য সরকারে কিছু আইএএস এবং আইপিএস অফিসার সেই ভুলটাই করছেন। এতে দেশের গণতন্ত্রের উপর কুঠারাঘাত করা হচ্ছে। আইনের থেকে কেউ বেশি শক্তিশালী নয়। রাজ্য অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য রাজ্যপাল হিসেবে এসব কোনওভাবেই বরদাস্ত করবো না। '
এদিন মালদহ ও এনজেপি রেল স্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নোত্তরে রাজ্যপাল বলেন, ভারতবর্ষে পরিবর্তন আসছে। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারার জটিলতা দূর হয়েছে। ১৯৭০ সালে কেউ কি এটা ভাবতে পেরেছিলেন? রামমন্দির তৈরিও হয়েছে। কাজেই আইনের মাধ্যমে সব কঠিন সমস্যারই সমাধান হবে।
এদিকে বিমল গুরুং প্রকাশ্যে এসে বিজেপি-র সঙ্গ ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধায়কে ফের মু্খ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার কথা ঘোষণা তো করেছেনই, সে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম করে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগও করেছেন বিমল গুরুং।
এরপর থেকেই পাহাড়ে বিনয় তামাং পন্থী মোর্চা বিমল গুরুংয়ের পাহাড় আসার বিরোধিতায় প্রতিদিনই মিটিং-মিছিল করে বিমল গুরুং গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছে। এদিনও কার্শিয়াং ও মিরিকে বিনয় পন্থীরা একই ধরনের মিছিল করে শক্তি প্রদর্শন করেছে। এই আবহে বিনয় তামাং ও অনিত থাপাকে কলকাতায় তলব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়। পাহাড়ে রাজ্যপাল থাকাকালীন বিনয় তামাং ও অনিত থাপার সঙ্গে ৩ নভেম্বর কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
No comments:
Post a Comment