নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সামনেই একুশের নির্বাচন। তার আগে ফের একবার আরও একটি জনসংযোগ কর্মসূচি গ্রহণ করতে চলেছে রাজ্যের শাসক। বলাবাহুল্য এই কর্মসূচিটিও প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত। চলতি মাসের ২৯ তারিখ এই কর্মসূচির সূচনা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিদিকে বল এবং বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচির পর এবার এই নয়া কর্মসূচির পোশাকি নাম "বঙ্গ ধ্বনি"। এই নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলা ও বহিরাগত তত্ত্বকে তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল। মন্ত্রীর ছবি দিয়েই তৈরি হচ্ছে নতুন ব্যানার। তাতে স্লোগান হিসেবে লেখা থাকছে, "বহিরাগতরা নয়, বাংলা চালাবে "বাংলার মানুষ"।
একই সঙ্গে এই নয়া কর্মসূচিতে তুলে ধরা হবে তৃণমূল সরকারের যাবতীয় উন্নয়নের খতিয়ান। ঘরে ঘরে গিয়ে মমতা সরকারের উন্নয়নের কাজের নিদর্শন তুলে ধরবেন তৃণমূল বিধায়ক থেকে নেতারা। এর পাশাপাশি চলবে জনসংযোগ। নিজেদের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলার মানুষের মনের কথা শুননা হবে এই কর্মসূচির মাধ্যমে।
এ কর্মসূচিতে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ একেবারেই থাকবে না বলে জানানো হয়েছে দলীয় সূত্রে। কারণ আইপ্যাক তাদের লোক সংখ্যা আরও বাড়িয়ে গোটা কর্মসূচির ওপর বাড়তি নজরদারি চালাবে। নিচতলা থেকে এই কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের যে অভাব অভিযোগ উঠে আসবে তা নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া রয়েছে উপরমহল থেকে।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বারবার একেবারে নিম্ন স্তর থেকে জনসংযোগ শুরু করার কথা বলেছেন। সেই মতই এবার তৃণমূল স্তরে দলের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিতে নেতাদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে জনসংযোগ বাড়াতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। দিদিকে বল বাংলার গর্ব মমতা তৃণমূলের এই দুই কর্মসূচি একেবারে কর্পোরেট কায়দায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সাফল্য এসেছে দলের অন্দরে। এরপর বিধানসভা নির্বাচনের আগে "বঙ্গ ধ্বনি" এই নতুন কর্মসূচি কতটা সাফল্য পায় সেটাই এখন দেখার।
No comments:
Post a Comment