ছট পুজোর ডালি-কুলো কিনতে উপচে পড়ছে ভিড় - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, 17 November 2020

ছট পুজোর ডালি-কুলো কিনতে উপচে পড়ছে ভিড়


নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুরশ্যামা পূজার সমাপনের সঙ্গেই ছট পুজোর আগমনীর সুরে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের হাট-বাজারে বাঁশের ডালি-কুলোর বিক্রি জমে উঠলো। দুই দিনাজপুর জেলার অন্যতম বড় কালিয়াগঞ্জের ধনকৈল হাটে সোমবার ছট পুজোর ডালি-কুলো কিনতে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়। 

হিন্দু সমাজে বারো মাসে তেরো পার্বনের একটি পার্বন এই ছট পুজো। হিন্দি ভাষী বিহারী সম্প্রদায়ের গন্ডি ছাড়িয়ে ছট পুজো এখন বাঙালির অন্যতম উৎসবে পরিণত হয়েছে। এই ছট পুজোর অন্যতম উপকরণ হল বাঁশের ডালি-কুলো। পুজোর উপকরণ সাজিয়ে নদীতে নিয়ে যেতে এই ডালি-কুলো ব্যবহার হয়। কালিয়াগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে বাঁশের এই ডালি-কুলো তৈরি করে বৈশ্য সম্প্রদায়ের মানুষ। এই ডালি-কুলো ক্রয়-বিক্রয়ের অন্যতম প্রতি সপ্তাহের সোমবার কালিয়াগঞ্জের ধনকৈল হাট। শুক্রবার ছট পুজোর আগে ছট পুজোর ডালি-কুলোর ক্রয়-বিক্রয়ে জমজমাট হয়ে উঠলো ধনকৈল হাট। কিন্তু করোনা আবহের কারণে কিছু বেচা কিনা খারাপ। ধনকৈল হাটের পাশাপাশি কালিয়াগঞ্জের কুনোর সমেত অন্যান্য ছোট হাট ও বাজারে ছট পুজোর প্রযোজনীয় ডালি-কুলো বিক্রি হয়। হাটে-বাজারে এই ডালি-কুলোর খদ্দের বাড়তেই কালিয়াগঞ্জের বিভিন্ন বৈশ্য পাড়ায় ব্যাস্ততা বেড়েছে বাঁশের ডালি-কুলো গড়ার কাজে যুক্ত হস্তশিল্পীদের। এখন বিহারী, বাঙালি সহ মাড়োয়ারী, নেপালী সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিজেদের পরিবারের মঙ্গল কামানায় এই ছট পুজোয় ব্রতী হন। 

বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে সূর্যের উপাসনা তথা ছট পুজোর উল্লেখ রয়েছে। বাংলা ক্যালেন্ডার মতে কার্তিক মাসের আমাবস্যার পর ষষ্টি তিথীতে ছট পূজার ব্রত পালন করা হয়। এই ছট পূজার প্রধান উপকরন নদী বা পুকুরঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশের ডালি-কুলোতে সাজিয়ে। এই কারনে ছট পুজোয় প্রচুর সংখ্যায় বাঁশের ডালি-কুলোর দরকার পড়ে। এই বাঁশের ডালি-কুলোর চাহিদা মেটাতে এখন চরম ব্যস্ততা কালিয়াগঞ্জের অনন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসিয়া বৈশ্য পাড়ায়। এই পাড়ার হস্তশিল্পীরা এখন অন্য কাজ ভুলে ব্যস্ত বাঁশের ডালি-কুলো বানাতে। বাড়তি রোজগারের আশায় এসময় বাড়ীর মহিলা, পুরুষ ও ছোটবড়  সকলেই ডালি-কুলো বানানোর কাজে হাত লাগায়। কৃষিকাজ সহ সারা বছর বিভিন্ন ধরনের কাজ করলেও একটু বেশি উপার্জনের আশায় বছরের কয়েকটি দিন  ডালি-কুলো তৈরি করেন দাসিয়া বৈশ্য পাড়ার অধিকাংশ পরিবার। কালিয়াগঞ্জের বিভিন্ন বৈশ্য পাড়ার তৈরি এই ডালি-কুলো স্হানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পাশের রাজ্য বিহার ও ঝাড়খণ্ডে পাড়ি দিচ্ছে। ছট পুজো উপলক্ষ্যে সোমবার কালিয়াগঞ্জের সাপ্তাহিক ধনকৈল হাটে জমজমাট হয়ে উঠেছিল বাঁশের ডালি-কুলোর ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad