প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক: আজ মহান ভারতীয় চিন্তাবিদ, সমাজসেবী, লেখক, দার্শনিক এবং বিপ্লবী জ্যোতিরাও গোবিন্দরাও ফুলের মৃত্যুবার্ষিকী। জ্যোতিরাও ফুলে 'মহাত্মা ফুলে' এবং 'জ্যোতিবা ফুলে' নামেও পরিচিত। 'মহাত্মা ফুলে' নারী ও দলিতদের উন্নয়নের জন্য অনেক কিছু করেছিলেন। জ্যোতিবা ফুলে ভারতীয় সমাজে বর্ণ ভিত্তিক বিভাজন এবং পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে ছিলেন। মহাত্মা জ্যোতিবা ফুলে ১১ এপ্রিল ১৮২৭ এ পুনেতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর মাতার নাম চিমনাভাই এবং বাবার নাম গোবিন্দরাও। তাঁর পরিবার বহু বছর আগে সাতারা থেকে পুনে এসে ফুলের কাজ শুরু করেছিলেন, যার কারণে তাঁর প্রজন্ম 'ফুলে' নামে পরিচিত ছিল। জ্যোতিরাও ফুলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ আমরা আপনাদের বলছি তাঁর জীবন সম্পর্কিত ৭ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ...
১. জ্যোতিরাওয়ের পরিবার ফুলের গজরা তৈরি করতেন। এই কারণেই তাঁর পরিবার ফুলে নামে পরিচিত ছিল। জ্যোতিবার মাত্র এক বছর বয়স ছিল যখন তার মা মারা যান।
২. জ্যোতিবা ফুলে মারাঠিতে কিছু সময়ের জন্য পড়াশোনা করেছিলেন, মাঝখানে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং পরে তিনি ২১ বছর বয়সে ইংরেজির সপ্তম শ্রেণি শেষ করেছেন।
৩. মহাত্মা ফুলে ১৮৪০ সালে সাবিত্রি বাইয়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
৪. মহিলাদের অবস্থার উন্নতি করতে এবং তাদের সমাজে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য, তিনি ১৮৫৪ সালে একটি স্কুল শুরু করেন। এটি ছিল দেশের প্রথম স্কুল যা মেয়েদের জন্য খোলা হয়েছিল।
৫. জ্যোতিবা ব্রাহ্মণ-পুরোহিত ছাড়াই বিবাহ অনুষ্ঠান শুরু করেছিলেন এবং মুম্বাই হাইকোর্টের স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন। তিনি বাল্য বিবাহের বিরোধী এবং বিধবা-বিবাহের সমর্থক ছিলেন।
৬. তিনি দলিতদের উন্নয়নের জন্য অনেক কিছুই করেছিলেন। তিনি তাঁর বাড়িতে দলিতদের বাচ্চাদের লালন-পালন করেছিলেন এবং তাদের জন্য একটি জলের ট্যাঙ্কিও খুলেছিলেন। ফলস্বরূপ, তাকে সমাজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
৭. মহাত্মা জ্যোতিবা ফুলে ৬৩ বছর বয়সে ১৮৮৯ সালের ২৮ নভেম্বর পুনেতে পরলোক গমন করেছিলেন।
No comments:
Post a Comment