চোরাকারবারি ও বৈদেশিক এক্সচেঞ্জ ম্যানিপুলেটারস অ্যাক্টের (সাফেমার) অধীনে সর্বাধিক কাঙ্ক্ষিত সন্ত্রাসী দাউদ ইব্রাহিমের মহারাষ্ট্রের ৬ টি সম্পত্তি মঙ্গলবার নিলাম করা হয়েছে। নিলামে ২২ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬০০ টাকা পাওয়া গেছে। কোভিডের কারণে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে নিলাম পরিচালিত হয়েছিল। সাফেমার ৬৮ এফের অধীনে ওয়ান্টেড অপরাধী এবং তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের সম্পত্তি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
দিল্লি থেকে ২ জন
আইনজীবী দাউদের সম্পত্তি কিনে দিল্লির আইনজীবী অজয় শ্রীবাস্তব দাউদের দুটি সম্পত্তি এবং আইনজীবী ভূপেন্দ্র ভরদ্বজ চারটি সম্পত্তি কিনেছিলেন। দাউদের ৪, ৫, ও ৮ নম্বর সম্পত্তি ভূপেন্দ্র কুমার ভরদ্বাজ নিয়েছেন, এবং ৮ ও ৯ নম্বর সম্পত্তি আইনজীবী অজয় শ্রীবাস্তব নিয়েছেন। প্রযুক্তিগত কারণে ১০ নম্বর সম্পত্তি নিলামে রাখা হয়নি। এই সম্পত্তি চিহ্নিতকরণ নিয়ে কিছুটা বিতর্ক হয়েছিল।
সাফেমার আওতায় মঙ্গলবার মোট ১৭ টি সম্পত্তি নিলাম হয়েছে । তদন্তকারী কর্মকর্তা মুনাফ সৈয়দের মতে রত্নগিরির খেদে দাউদের মোট ১৩ টি সম্পত্তি ছিল যার মধ্যে ৬ টি নিলাম হয়েছে। এই সম্পত্তিগুলির মূল্য ধরা হয়েছিল প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা। রত্নগিরিতে দাউদের পৈতৃক প্রাসাদটি বিক্রি হয়েছে মাত্র ১১ লাখ ২ হাজারে।
নিলামকৃত সম্পত্তিগুলির মধ্যে রয়েছে খেদ উপজেলার মুম্বাকে গ্রামের এক টুকরো জমি। এর জন্য ১.৩৩ লক্ষ টাকার বিড করা হয়েছিল। এর বাইরে একটি জমি ও তার উপর নির্মিত একটি দ্বিতল বাংলোও নিলামে আনা হয়। এ জন্য পাঁচ লক্ষ টাকার মূল মূল্য রাখা হয়েছিল। পেট্রোল পাম্পের নামে একটি জমিও নিলাম করা হয়েছে।
ইকবাল মিরচি কোনও সম্পত্তি বিক্রি করতে পারেনি
ইকবাল মিরচির জুহু বাংলো এবারও নিলাম করা যায়নি। অধিক দামের কথা উল্লেখ করে দরদাতাকে টেনে নিয়ে গেল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গত মাসে দাউদের সহযোগী ইকবাল মিরচির পরিবারের সদস্যদের ৭ টি সম্পত্তি সংযুক্ত করেছিল। এর মধ্যে রয়েছে সিনেমা হল, একটি হোটেল, একটি আন্ডার কনস্ট্রাকশন হোটেল, দুটি বাংলো এবং পাঁচগনিতে সাড়ে ৩ একর জমি। জব্দকৃত সম্পদের মূল্য ২২ কোটি টাকারও বেশি বলে জানা গেছে।
দাউদের ৩ টি সম্পত্তি ২ বছর আগে নিলাম হয়েছিল। এর পরে দাউদের বোন হাসিনা পার্কারের ফ্ল্যাটও নিলাম হয়।
No comments:
Post a Comment