প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন এই বলিউড তারকারা

 

প্রেসকার্ড ডেস্ক: ২১ নভেম্বর তার ৮২ তম জন্মদিন উদযাপন করা হেলেনের প্রেম জীবন বেশ আকর্ষণীয় ছিল। তিনি প্রখ্যাত চিত্রনাট্য লেখক সেলিম খানকে বিয়ে করেছিলেন। ১৯৮০ সালে এই বিয়ের সময় সেলিম সুশীলা চরকের (বর্তমানে সালমা খান) স্বামী ছিলেন। এগুলি ছাড়াও তাদের চারটি সন্তান ছিল কিন্তু সেলিম খান হেলেনের প্রতি এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, তিনি প্রথম স্ত্রী সালমাকে ডিভোর্স না দিয়েই হেলেনকে বিয়ে করেছিলেন।

যাইহোক, বলিউডে এমন অনেক তারকা আছেন যারা তাদের প্রথম বিয়ে না ভেঙে বিয়ে করেছিলেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু সেলিব্রিটি ...

ধর্মেন্দ্র

হেমা মালিনী এবং ধর্মেন্দ্র ২১ শে আগস্ট ১৯৭৯ সালে বিয়ে করেছিলেন। কথিত আছে যে, খাজা আহমদ আব্বাসের চলচ্চিত্র 'আকাশমহল' প্রিমিয়ারে ১৯৬৫ সালে দু'জনের প্রথম দেখা হয়েছিল। তবে 'শোলে' ছবির শুটিং চলাকালীন তাদের প্রেম একটা উচ্চ স্থানে পৌঁছেছিল।

হেমা ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রী। তাঁর প্রথম স্ত্রী হলেন সানি দেওল এবং ববি দেওলের মা প্রকাশ কৌর। হেমাকে বিয়ে করার সময়, ধর্মেন্দ্র তার প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়নি। তিনি এখনও প্রকাশ কৌর এবং তাদের চার সন্তানের (সানি, ববি, বিজয়ী, অজিতা) সাথে থাকেন এবং হেমা মালিনী এখনও বিবাহিত, তবে তিনি তার মেয়েদের (ইশা ও অহনা) সাথে আলাদাভাবে থাকেন ।

বনি কাপুর

১৯৯৬ সালে শ্রীদেবীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, বনি কাপুরও ইতিমধ্যে বিবাহিত ছিলেন। তাঁর প্রথম স্ত্রীর নাম মোনা এবং তিনি দুই সন্তানের মা (অর্জুন এবং আংশুলা)ছিলেন। বনি স্পষ্ট করেই মোনাকে জানিয়েছিলেন যে ,তিনি শ্রীদেবী ছাড়া বাঁচতে পারবেন না। এর পরে, দুজনের বিবাহবিচ্ছেদ না হলেও মোনার সাথে তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। ১৯৯৬ সালে শ্রীদেবী এবং বনি অবশেষে বিয়ে করেন। তাদের দুজনেরই দুই মেয়ে রয়েছে জাহ্নবী এবং খুশি কাপুর।

রাজ বাব্বার

৮০ এর দশকে স্মিতা পাতিল এবং রাজ বাব্বারের জুটি পর্দার অন্যতম হিট দম্পতি ছিল। একই সঙ্গে দু'জন একে অপরের নিকটে এসেছিলেন, কিন্তু রাজ বব্বরের তখন বিয়ে হয়েছিল। নাদিরা তাঁর প্রথম স্ত্রী। তিনি আর্য বাব্বার এবং জুহি বাব্বারের বাবাও।

তার স্বামী এবং বাবার দায়িত্ব সত্ত্বেও, স্মিতা পাতিলের প্রতি রাজের ভালবাসা কমেনি এবং তিনি তাকে বিবাহ করেছিলেন। তবে গর্ভাবস্থার জটিলতায় স্মিতাকে তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় চলে যেতে বাধ্য করায় এই বিবাহটি করুণভাবে শেষ হয়েছিল। প্রীতিক হলেন বাব্বর রাজ ও স্মিতা পাটেলের একমাত্র সন্তান। স্মিতার মৃত্যুর পরে, রাজ নাদিরার কাছে ফিরে আসেন এবং প্রীতি তার দিদার দ্বারা লালিতপালিত হয়।