নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মালিওর এলাকার লোটেরা গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধা গোলেনুর। অসহায় অবস্থায় পরিত্যাক্ত ভাবে দিন কাটত তার। জন্মের এক মাস পর থেকেই অন্ধ সে। বাবা-মা মারা গেছে বহুদিন আগে। পরিবার-পরিজন বলতে কেউ নেই। বাবার মৃত্যুর পর শরিকরাও সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছে তাকে। তারপর সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পার্শ্ববর্তী যোগীলাল গ্রামে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে দিন যাপন করে অন্ধ অসহায় বৃদ্ধা গোলেনুর। আগে যাও বা ভিক্ষা মিলত বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটুকুও জুটতো না । সরকারি সাহায্য মেলেনা, মেলেনি আবাস যোজনার ঘর বা কোন ভাতা। খাওয়া-থাকার কোন ঠিক নেই। অন্যের দয়ায় , এর ওর উঠানে পরেই কাটছিল দিন।
এই খবর কিছুদিন আগেই প্রচারিত হয়। খবরের জেরে এবার অসহায় এই বৃদ্ধের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেতা। তৃণমূলের মালদা জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের দাপুটে নেতা বুলবুল খান আজ এই বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করে তাকে খাদ্যদ্রব্য এবং আর্থিক সাহায্য করলেন। এছাড়াও ভবিষ্যতে উনার পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন।
উল্লেখ্য, খবর যেদিন প্রচারিত হয় সেদিনই সংবাদমাধ্যমের সামনে বুলবুল বাবু বলেছিলেন, তিনি অসহায় এই মহিলার পাশে দাঁড়াবেন। কথা রাখলেন তিনি। আজ গোলেনুরের সঙ্গে দেখা করে উনাকে সাহায্য করে আসেন সহৃদয় এই নেতা। বুলবুল বাবুর সাহায্য পেয়ে হাসি ফুটেছে অন্ধ অসহায় বৃদ্ধা গোলেনুরের মুখে।
বুলবুল খান বলেন, "সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকেই আমি ওনার দুরাবস্থার কথা জানতে পারি। আজ গিয়ে চাল, ডাল, কাপড় এবং সামান্য আর্থিক সাহায্য করে এলাম। উনি যাতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পান সেদিকে লক্ষ্য রাখবো। ভবিষ্যতে উনার যে কোন দরকারে পাশে থাকবো।"
গোলেনুর জানান, "আজ বুলবুল বাবু এসে আমাকে সাহায্য করলেন। ভবিষ্যতেও পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এই সাহায্য পেয়ে আমি খুব খুশি।"
তবে এই প্রথম নয়, হরিশ্চন্দ্রপুরের এই দাপুটে তৃণমূল নেতা বহুবার অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। করোনা পরিস্থিতিতে বহু দুঃস্থ পরিবারের প্রতি বাড়িয়ে দিয়েছেন তার সাহায্যের হাত। আসলে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোকেই তিনি জনসংযোগের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
তিনি জানান, এই বৃদ্ধা মানুষটির পাশে তিনি সব রকম ভাবে থাকবেন এবং তার কর্মী বৃন্দ বৃদ্ধার সুবিধা অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখবে। তিনি আরও বলেন, আবাস যোজনার লিস্টে গোলেনুরের নাম না থাকলেও তিনি জেলা স্তরে কথা বলে এই বিষয়ে আলোচনা করবেন এবং এটিই হবে তার প্রধান কাজ এখন।

No comments:
Post a Comment