প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্কঃ স্থায়ী সভাপতির দাবিতে ২৩ জন প্রবীণ নেতার পক্ষে কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠির বিষয়ে সম্প্রতি বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। এই হট্টগোলের পরে, সোনিয়া গান্ধী একটি নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের পাশাপাশি সংগঠনে নির্বাচন পরিচালনা করতে সিনিয়র দলীয় নেতা মধুসূদন মিস্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি নতুন নির্বাচন কমিটি গঠন করেছিলেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, এই নির্বাচন কমিটি এখন নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ শুরু করেছে এবং দুই দফা বৈঠকও করেছে।
নির্বাচন কমিটি সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিটি এক মাসের মধ্যে দলের সভাপতির পদসহ কার্যনির্বাহী কমিটির ১২ জন সদস্যের নির্বাচন করতে প্রস্তুত থাকবে এবং কংগ্রেস সভাপতিকে অবহিত করবে। যার পরে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা ডাকা হবে এবং সময়সূচি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে নির্বাচন পরিচালনার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরামর্শ দেওয়া হবে। সূত্রমতে, নতুন সভাপতি সহ কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং কংগ্রেস জানুয়ারিতে তার নতুন সভাপতি পাবে।
এবার নির্বাচন সাধারণ নির্বাচন হবে না তবে একভাবে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচন হবে, কারণ সর্বশেষ স্থায়ী সভাপতি ২০১৭ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন, যার মেয়াদ ২০২২ অবধি রয়েছে। তবে এরই মধ্যে রাহুল গান্ধীর পদত্যাগের কারণে সোনিয়া গান্ধীকে অন্তবর্তীকালীন সভাপতি করা হয়। তবে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত নতুন সভাপতিও এই পদে থাকবেন।
কারণ এবার কংগ্রেস নির্বাচন সাধারণ নির্বাচন হবে না, তাই এবার কেবল এআইসিসির সদস্যরা নির্বাচনে ভোট দেবেন। নির্বাচনের আগে সম্প্রতি পুনর্গঠিত কার্যনির্বাহী কমিটিও পদত্যাগ জমা দেবে এবং একটি নতুন ওয়ার্কিং কমিটি নির্বাচিত হবে।
এখন বড় প্রশ্ন হ'ল, রাহুল গান্ধী কি সভাপতি না হওয়ার জন্য জোর দিয়ে নির্বাচন করবেন? রাহুল গান্ধী বারবার বলেছিলেন যে তিনি সভাপতি হবেন না। এমনকি পদত্যাগের পরে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে তিনি বলেছিলেন যে তিনি এবং গান্ধী পরিবার থেকে কেউ সভাপতি হবে না।
সম্প্রতি দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা পার্টির কার্যকারিতা এবং নতুন স্থায়ী সসভাপতির দাবিতে সোনিয়া গান্ধীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন, এরপরে প্রচণ্ড হট্টগোল ও কার্যনির্বাহী কমিটির একটি সভা আহ্বান করা হয়েছিল, তাতে সোনিয়া গান্ধী কথায় কথায় বলেছিলেন যে দলের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার নতুন সভাপতি নির্বাচন করা উচিৎ।
এই বৈঠকে অনেক লোক রাহুল গান্ধীর কাছে দাবি করেছিলেন যে তিনি এবার জেড ছেড়ে দলের সভাপতিত্ব গ্রহণ করুক, তবে রাহুল গান্ধী তাতে কোনও জবাব দেননি। রাহুল গান্ধী সভাপতি হবেন বা তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা সে বিষয়ে দলের সব নেতারা নীরব রয়েছেন।

No comments:
Post a Comment