পূর্ব লাদাখে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারত ও চীনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ডব্লিউএমসিসির বৈঠক - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 1 October 2020

পূর্ব লাদাখে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভারত ও চীনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ডব্লিউএমসিসির বৈঠক

 


প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্কঃ পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতি আগের মতোই রয়েছে। অন্যদিকে, ইস্যুটি সমাধানে ভারত-চীন মধ্যে আলোচনার প্রক্রিয়াও ধারাবাহিকভাবে চলছে। বুধবার ওয়ার্কিং মেকানিজম ফর কনসালটেশন অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন, (ডাব্লুএমসিসি) এর আওতায় দু'দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে পঞ্চম দফার বৈঠক বসেছে। এটি সন্তোষজনক যে উভয় পক্ষই আরও যোগাযোগ বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে।


প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ১০ সেপ্টেম্বর আলোচনায় উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে যে পাঁচ দফা সূত্র মেনে নিয়েছিল তা বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা হয়েছিল। বৈঠকের পর দু'দেশের পক্ষ থেকে পৃথক বিবৃতি জারি করা হয়েছে যে পারস্পরিক সংলাপ বজায় রাখা হবে। দু'দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মধ্যে এই কথাবার্তা এমন সময় হয়েছে যখন একদিন আগে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার স্ট্যাটাস নিয়ে এক ভয়াবহ মৌখিক যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।


চীনের পক্ষে আগেই বলা হয়েছিল যে, ১৯৫৯ সালের ৭ নভেম্বর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর কাছে একটি চিঠিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চৌ এনালাইয়ের প্রস্তাবিত এলএসি অনুসরণ করেছিল। এতে ভারত চীনকে বলেছিল যে ১৯৫৯ সালে তারা কখনও একতরফাভাবে সংজ্ঞায়িত এলএসি গ্রহণ করেননি। ভারত বলেছে যে চীন নিজেও এ সম্পর্কে ভালভাবে অবগত। ভারত বলেছে যে চীনের একতরফা ব্যবস্থা এড়ানো উচিৎ।


তবে বুধবার ডব্লিউএমসিসির পরে প্রকাশিত এক আলোচনায় উভয় দেশই নরম অবস্থান নিয়েছে। ভারত বলেছে যে এই বৈঠকে সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল। এছাড়াও ২০ আগস্ট বৈঠকের পর সীমান্তের ক্রিয়াকলাপ পর্যালোচনা করা হয়েছিল। উভয় পক্ষই বিশ্বাস করে যে মাসের শুরুতে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।


উভয় দেশই বিশ্বাস করে যে, বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে তা গুরুত্বের সাথে বাস্তবায়ন করা উচিৎ। শুধু তাই নয়, ২১ শে সেপ্টেম্বর কর্পস কমান্ডার স্তরের বৈঠক এবং তারপরে জারি করা যৌথ বিবৃতিতেও এর উল্লেখ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে এবং স্থলভাগে আস্থা ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এ জন্য উভয় পক্ষই কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে উচ্চ-স্তরের সংলাপ অব্যাহত রাখবে।


বিদ্যমান চুক্তির ভিত্তিতে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য কমান্ডার স্তরের পরবর্তী রাউন্ডে শীঘ্রই আলোচনা করা হবে বলেও একমত হয়েছে। এটি উল্লেখ করার মতো যে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে দুই দেশ যে পাঁচ দফা সূত্রে সম্মত হয়েছিল সেগুলির মধ্যে দ্রুত সেনা প্রত্যাহার, উত্তেজনা বৃদ্ধির কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনার সমস্ত চুক্তি ও প্রোটোকল অনুসরণ করা অন্তর্ভুক্ত ছিল। শুধু এটিই নয়, এর মধ্যে বাস্তব নিয়ন্ত্রণের লাইনে শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণও রয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad