প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্কঃ ভারত ও চীনের মধ্যে কর্পস কমান্ডার-পর্যায়ের আলোচনার সপ্তম দফার আগে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক নেতারা পূর্ব লাদাখের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শুক্রবার এখানে সভার কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন। কর্পস কমান্ডারদের ১২ ই অক্টোবর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এবার কর্পস কমান্ডারের মধ্যে সংলাপটি পূর্ব লাদাখের সমস্ত সংঘাতের স্থান থেকে সেনা অপসারণের জন্য একটি রোডম্যাপ নির্ধারণের এজেন্ডায় হবে।
সূত্র জানিয়েছে যে সোমবার চীন স্টাডি গ্রুপের (সিএসজি) বৈঠকে পূর্ব লাদাখের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার পাশাপাশি ভারত যে উত্থাপন করছে তার মূল বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সিএসজিতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সেনাবাহিনীর তিনটি শাখার প্রধান রয়েছেন।
সূত্র জানায়, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এমএন নারওয়ানে বৈঠকে পূর্ব লাদাখের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে অবহিত করেছেন। সূত্রের খবর, কর্পস কমান্ডার স্তরের কৌশলগত কৌশল চূড়ান্ত করতে বৈঠকটি আহ্বান করা হয়েছিল। ভারতীয় দলটির নেতৃত্বে থাকবেন লেহে চৌদ্দতম কর্পসের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিদার সিং। বৈঠকে বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্মকর্তাও উপস্থিত থাকবেন।
এটি উল্লেখযোগ্য যে পূর্ব লাদাখের একগুঁয়ে চিনা অবস্থানের কারণে অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে। উভয় দেশের সেনাবাহিনী সীমান্তে দাঁড়িয়ে আছে। চীনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভারতও কৌশলগত অবস্থান জোরদার করছে। শুক্রবার ভারতের প্রথম স্বদেশী এন্টি-রেডিয়েশন ক্ষেপণাস্ত্র 'রুদ্রম -১' সফলভাবে পরীক্ষিত হয়েছিল। শত্রুর সংকেত এবং রেডিয়েশন সিস্টেম ক্যাপচার ও ধ্বংস করতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ দ্রুত।
এই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও) তৈরি করেছে। বর্তমানে, এই প্রযুক্তিটি কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং জার্মানির কাছে রয়েছে। এটি ওড়িশার বালাসোরে যুদ্ধবিমান সুখোই-৩০ দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল, যা নির্বিঘ্নিত লক্ষ্যবস্তু দিয়ে তার লক্ষ্যটিকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ক্ষেপণাস্ত্র চীনের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে খুব কার্যকরী হতে পারে।

No comments:
Post a Comment