প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্কঃ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসঙ্ঘচলক মোহন ভাগবত বলেছেন যে ভারতীয় মুসলমানরা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট এবং একরকম বিচ্ছিন্নতাবাদ কেবল তারাই ছড়িয়ে দেয়, যাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। একটি ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সঙ্ঘের প্রধান বলেছিলেন যে ভারতীয়তার কথা এলে সমস্ত ধর্মের লোকেরা একত্র হয়ে দাঁড়ায়। মেওয়ারের রাজা মহারাণ প্রতাপের সেনাবাহিনীতে অনেক মুসলিম মুঘল শাসক আকবরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন।
ভাগবত বলেছিলেন যে এটি ভারতের ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে যে দেশের সংস্কৃতির ওপর যখন আক্রমণ করা হয় তখন সমস্ত ধর্মের লোকেরা ঐক্যবদ্ধ হয়। ভাগবত আশ্চর্য হলেন যে পৃথিবীতে আর কোনও উদাহরণ রয়েছে, যেখানে জনগণের ওপর শাসন করা বিদেশী ধর্মের অস্তিত্ব বর্তমানে বাকী রয়েছে? তিনি বলেছিলেন যে এটি কোথাও হয় না। এটি কেবল ভারতে রয়েছে। পাকিস্তান, ভারতের মতো নয়, অন্য ধর্মাবলম্বীদের কর্তৃত্ব দেয়নি।
ভাগবত বলেছিলেন যে পাকিস্তান মুসলমানদের জন্য একটি পৃথক দেশ হিসাবে গঠিত হয়েছিল। আমাদের সংবিধানে বলা হয় না যে এখানে কেবল হিন্দুরা বসবাস করতে পারে বা যদি এখানে থাকতে হয় তবে আপনাকে হিন্দুদের শ্রেষ্ঠত্ব গ্রহণ করতে হবে। এটি আমাদের রাষ্ট্রের প্রকৃতি। এই সহজাত প্রকৃতিকে হিন্দু বলা হয়। কাদের পূজা করে তার সাথে হিন্দুর কোনও সম্পর্ক নেই।
সংঘের প্রধান বলেছিলেন যে যখনই ভারত এবং এর সংস্কৃতির জন্য ত্যাগ ও সুরক্ষার ভাবনা হয় ... পূর্বপুরুষদের প্রতি গর্বের অনুভূতি জোরদার হয়, তখন সমস্ত ধর্মের মধ্যে দূরত্ব হারাতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে সকল ধর্মের লোকেরা একসাথে উঠে দাঁড়ায়। ভাগবত বলেছিলেন যে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ কেবল ঐতিহ্যবাহী উদ্দেশ্যে নয়। এটি রাষ্ট্রীয় মূল্যবোধ ও চরিত্রের প্রতীক।
সংঘের প্রধান বলেছিলেন যে সত্য এই যে, এই দেশের মানুষের মনোবল ভাঙতে এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ দমন করতে মন্দিরগুলি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এ কারণেই দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু সমাজ মন্দিরগুলি পুনর্নির্মাণ করতে চেয়েছিল। আমাদের জীবন আক্রমণকারীদের দ্বারা জর্জরিত ছিল। আমাদের আদর্শ ভগবান শ্রী রামের মন্দির ভেঙে দেওয়ায় আমরা অপমানিত হয়েছিলাম। আজ আমরা এটি আবার পুনর্নির্মাণ করতে চাই, সুতরাং একটি দুর্দান্ত মন্দির তৈরি হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment