খোদ তৃণমূল দলের ভেতরেই শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়ে জোড় চর্চা, তবে কি বদলাচ্ছে শুভেন্দুর রাজনৈতিক রঙ?

 শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়ে ধন্দে পড়েছে মানুষ,  দলের ভেতর তৈরি হচ্ছে দ্বিমত। তাঁর ঘনিষ্ঠ দাবি, তিনি দল ছাড়ছেন না।  দলের কিছু লোক তাকে দল থেকে বের করে দিতে চায়।  শক্তিশালী বিরোধীদের বক্তব্য শুনতে পাচ্ছি তার দল বদলের গল্প রয়েছে । যে কোনও দিকে যেতে পারেন। 

 শুভেন্দু অধিকারী এখনও দলের প্রধান।  তিনি এখনও পূর্ব মেদিনীপুরে দলের নেতা।  তবে গত কয়েকদিনে হলদিয়া থেকে কাঁথি পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের একটি অংশ বিপুল সংখ্যক প্ল্যাকার্ড স্থাপন করেছে।  তবে তাতে কোনও দলের নাম নেই।  কোন চিহ্ন নেই  এখানে কেবল শুভেন্দু অধিকারীর ছবি রয়েছে।  তিনি কোনও দলের কর্মসূচি করছেন না।  তবে বিভিন্ন প্রোগ্রামে তাকে 'সৌভাগ্যের অধিকারী মানুষ' হিসাবে দেখা যায়।  শুধু পূর্ব মেদিনীপুরেই নয়।  পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের কয়েকটি অঞ্চলে একই চিত্র।  তিনটি জেলায়ই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাও বিশ্বাস করেন যে তাদের অনুগামীরা অনেক আসনেই 'ফ্যাক্টর'।  একটি জনপ্রিয় পত্রিকার খবর  অনুসারে তাঁর নিকটতম হালদিয়ার এক নেতার কথায়, "দাদার মুর্শিদাবাদেও লোক রয়েছে।  কিছু কিছু অঞ্চল অন্যান্য জেলা থেকেও প্রভাব ফেলে।  এ ছাড়াও সমস্ত জেলায় এমন অনেক কর্মী আছেন যারা কলকাতায় অনেক নেতার কাছ থেকে তাঁর লড়াকু মানসিকতার কারণে দাদাকে ভালবাসেন । তাহলে কি হালদিয়ার বিধায়করা কি দল ছাড়ে ,নতুন কোন দল বা মোদী সরকারে নাম লেখাচ্ছেন? এই প্রশ্নের জবাবে রামনগরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আখিল গিরি বলেন, আমি বাজারে অনেক কিছু শুনছি।  কেউ কেউ বলেছেন যে নতুন দল গঠন করা হবে।  কেউ বলছেন বিজেপিতে যাচ্ছেন।  আমি কিছুই জানি না।  তিনি দীর্ঘদিন আমার সাথে রাজনৈতিক আলোচনা করেননি।  

  এ বিষয়ে অবশ্য শুভেন্দু অধিকারীর কোনও মন্তব্যে পাওয়া যায়নি।  বরং  তৃণমূল কংগ্রেসের একটি অংশ প্রচার চালাচ্ছে যে শুভেন্দু অধিকারী আগামী নভেম্বরে কিছু করতে পারে এমন ইঙ্গিত রয়েছে।  ।