কর্ণাটকে প্রতিদিন ড্রাগসের নতুন মামলা উঠে আসছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে নেদারল্যান্ড থেকে ভারতে পাঠানো পার্সেলের বিশদ তদন্তের পরে বেঙ্গালুরুতে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো ড্রাগস সিন্ডিকেটের চার সদস্যকে ধরেছে। এই সংস্থাটি জানিয়েছেন, সারা দেশে অনলাইনে এই ড্রাগ বিক্রি ছাড়াও জড়িতরা কর্ণাটকের উডুপিতে কলেজ ছাত্রদের কাছে ড্রাগস বিক্রি করত। জুলাই মাসে পার্সেলটি ধরার পরে, এনসিবি সেই সময়ে ৭৫০ টি এমডিএমএ ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করেছিল যা ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে অর্ডার করা হয়েছিল। এর জন্য অর্থ প্রদান করা হয়েছিল বিটকয়েন দিয়ে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন কে প্রমোদ, মাস্টারমাইন্ড ফাহিম এবং তাদের সহযোগী এ হাশির ও এসএস শেট্টি। এনসিবি জানিয়েছে, ফাহিম একটি ওয়েব সিরিজ দেখার পরে ডার্কনেটে অনলাইনে ড্রাগ কেনার পদ্ধতিটি শিখেছে। তিনি বিটকয়েন কিনতে শুরু করেছিলেন এবং ডার্কনেট থেকে ড্রাগগুলি অর্ডার করতে তাদের ব্যবহার করতেন। “ফাহিম ভারতে বিভিন্ন ঠিকানায় ড্রাগ সরবরাহ করতেন। তিনি উডুপির বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে ড্রাগ বিক্রি করেছিলেন। ফরোয়ার্ড সংযোগের বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে,এনসিবি তা জানিয়েছেন।
একটি প্রেস নোটে, এনসিবি জানিয়েছেন, “নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এনসিবি ৩০/০৭/২০২০ তারিখে নেদারল্যান্ড থেকে ভারতে আসা একটি পার্সেল বাজেয়াপ্ত করেছে। উক্ত পার্সেলটিতে এমডিএমএর ৭৫০ টি ট্যাবলেট (১৪২ গ্রাম) রয়েছে বলে জানা গেছে। পার্সেলটিতে কোনও ঠিকানা ছিল না বলে জানা গেছে। এরপর ম্যানুয়াল বুদ্ধিমত্তার সাথে বিশদ প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ পরিচালিত হয়েছিল। ২৪/০৯/২০২০-এ, ডিজিটাল বিশ্লেষণের সহায়তায় মামলার বিস্তারিত তদন্ত এনসিবি দলকে সমস্ত সিন্ডিকেট সদস্যদের গ্রেপ্তারের করতে সহায়তা করেছিল। "
No comments:
Post a Comment