নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর: করোনার ছায়া এবার লক্ষ্মী পুজোতেও। করোনার কারনে প্রতিমার বাজার এবার মন্দা। যদিও বাজার মন্দা থাকলেও নিজেদের পুর্বপুরুষদের ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে যেতে এখনও পট বা সরা লক্ষ্মী গড়ে ক্ষুন্নিবৃত্তি সারছেন বালুরঘাটের অল্প কিছু পটুয়া। লুপ্তপ্রায় হতে থাকা এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখাই তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারনে বর্তমান প্রজন্মকে এই পেশায় পুনরায় আকৃষ্ট করতে সরকারি পরিকল্পনার দাবী তুলেছেন তারা।
দুর্গোৎসব শেষে এবার কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনায় মাতবে মানুষ। সেই কারনে মৃৎ শিল্পীদের তৈরি নানান রকমের লক্ষ্মী প্রতিমা বাজারে আসছে। তেমনভাবেই পট কিংবা সরা লক্ষ্মী প্রতিমা তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছেন পট শিল্পীরা। করোনার কারনে এবছর বাজার এতটাই মন্দা যে পেটের তাগিদে সামান্য লাভ রেখেই পট বিক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে এই শিল্পীরা। প্রতি বছর যে পট ৮০ -৯০ টাকায় বিক্রি করেন এই শিল্পীরা এবছর তা তারা ৫০-৬০ টাকাতে বা তারও কমে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে তারা জানিয়েছেন। তবুও কিছু মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বালুরঘাটের গুটি কয়েক পটুয়া অল্পবিস্তর পট এ বছর বানাচ্ছেন।
শহরের খিদিরপুর এলাকায় ৪ থেকে ৫ টি বাড়ীতেই শুধুমাত্র পট প্রতিমা তৈরি হয়। এবছর করোনা সংকটের কারনে একেকটি বাড়ীতে খুব বেশি হলে ১৫০ থেকে ২০০ টি প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে চাহিদা অনুযায়ী। খিদিরপুর এলাকার পটুয়ারা মূলত সব দেবতার প্রতিমা গড়েন পট আকারে কিন্তু অর্থনৈতিক অনৈক্যে নায্য দাম না পাওয়াটা এবছর বড় একটা সমস্যা এই শিল্পীদের। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব সকলের বলেই দাবী তাদের।
No comments:
Post a Comment