বাবা-মা থেকেও নেই, অসহায় দুই ভাইয়ের দিন কাটছে চরম দুর্দশায় - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 9 October 2020

বাবা-মা থেকেও নেই, অসহায় দুই ভাইয়ের দিন কাটছে চরম দুর্দশায়


নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর:  বাবা-মা দুজনেই নেই, তাই  দিন আনা দিন খাওয়া দিদার সংসারে অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে দুই নাবালক ভাইয়ের। তার উপর লকডাউনের কোপে পরে ভিন রাজ্য থেকে কাজ হারিয়ে  জামাইবাবুকে নিয়ে দিদি দিদার সংসারে এসে ওঠায়  দিন গুজরান করাই এখন তাদের চরম  অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। 

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন  এলাকার জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের  বাতমুলুক গ্রামে। যদিও দিদি জামাইবাবু  ও  পরের জমিতে দিনমজুরির কাজ করে দুবেলা দুমুঠো জোটানোর  পাশাপাশি নাবালক ভাই দুটিকে  শিক্ষিত করে তোলার চেষ্টা চালালেও বাধ সেধেছে প্রতিদিন দিন মজুরির কাজ না থাকায়। এলাকায় চকলেট দাদু নামে পরিচিত এক সমাজসেবী মাঝে মাঝে এসে  কিছু  সাহায্য করায় কোনরকমে তাই দুই ভাইকে নিয়ে কোনরকমে দিন কাটছে তাদের। 

দিদার সংসারে থাকা সুশান্ত মুর্মু ও প্রশান্ত মুর্মু,  একজন পড়ে চতুর্থ শ্রেনীতে অন্যজন পড়ে ষষ্ঠ শ্রেনীতে। ভিন রাজ্য থেকে করোনার লকডাউনের জেরে দিদার সংসারে ফিরে সুশান্ত মুর্মু, প্রশান্ত মুর্মু দুই ভাইয়ের দিদি সুনীতা মুর্মু জানান, তাদের বাবা মা থেকেও নেই। কয়েক বছর আগে বাবা মা  দুজনেই তাদের ছেড়ে চলে গেছে । তাই দুই ভাই দিদার সংসারে এসে থাকছে।  দিদার বার্ধ্যক ভাতার সামান্য টাকা দিয়ে তাদের কোনক্রমে চালাতে হচ্ছে। ওরা দুই ভাই পড়া শোনা করতে চাইলেও ওদের পড়াশোনা চালাতে পারব কিনা তা  নিয়ে  চিন্তিত তারা। সুনীতা নিজে পরের জমিতে কাজ করলেও প্রতিদিন এখানে কাজ না জোটায় দিন গুজরান করাই তাদের দুষ্কর হয়ে পড়েছে বলে জানান। পাশাপাশি সামান্য কিছু সঞ্চয় যা ছিল, তা লকডাউনের সময় খেয়ে পড়ে বাঁচতে শেষ হয়ে গেছে।  তার দাবী দিদা সামান্য কিছু ভাতা পায় সেই ভাতার উপর ভরসা কোনরকমে তারা চলেছেন।  তাদের এই দুর্দশার হাত থেকে বাঁচাতে ও ভাই দুটির পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে কোন সুহৃদয় ব্যক্তি বা সরকার সাহায্যের হাত তাদের দিকে বাড়িয়ে দিলে তারা কোনরকমে দিন গুজরান করতে পারবেন, না হলে আগামীতে যে কি ভাবে চলবে সে একমাত্র ইশ্বর জানে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad