গাইঘাটা কর্মকাণ্ডে গ্রেফতার মৃতের স্ত্রী ও তার প্রেমিক - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 29 October 2020

গাইঘাটা কর্মকাণ্ডে গ্রেফতার মৃতের স্ত্রী ও তার প্রেমিক


নিজস্ব সংবাদদাতা, উওর ২৪ পরগনাউত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা গোয়ালবাথানে দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত সুজিত দাস ও মৃতের স্ত্রী স্বপ্না সরকারকে গ্রেপ্তার করে গাইঘাটা থানার পুলিশ। তাদের আজ বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার রাতে রামকৃষ্ণকে মাথায় পরপর তিনটি বারি মেরে খুন করা হয়। পরবর্তীতে বাঁশ বাগানে ফেলে রেখে বাড়ীতে চলে আসে তারা। মধ্যরাতে স্বপ্নাকে নিয়ে গিয়ে বাঁশবাগান থেকে দেহ উদ্ধার করে সুজিতের ঘরে রাখে। সেখান থেকে পরবর্তীতে দেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার ছক ছিল। সারারাত সুজিতের খাটের নিচে রামকৃষ্ণের মৃতদেহ ছিল এবং খাটের উপরে সুজিত ও সপ্না তার ছেলেকে নিয়ে ছিল। সেখান থেকে সকালে স্বপ্না বনগাঁর বাড়ীতে চলে যায়। মঙ্গলবার রক্ত দেখে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ালে ভয়ে সুজিত তার খাটের নিচে মাটি খুঁড়ে রামকৃষ্ণ সরকারের দেহ পুরে দেয়। পরবর্তীতে বুধবার পুলিশ এই দেহ উদ্ধার করে। এলাকায় পুলিশ ঢুকতেই পালানোর চক্করে থাকে সুজিত। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে শাবল, কোদাল, রক্তমাখা দুটি জামা, একটি নাইটি, লোহার হাতলযুক্ত চাপড় ও কাঠের টুকরো উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সুজিত জানাচ্ছে, 'সোমবার স্বপ্না ও তার স্বামী রামকৃষ্ণ সুজিতের বাড়ীতে আসে, সেখানে তারা মদ খায়। তারপরে সন্ধ্যায় তারা ঘুরতে বেরোয়। সেখান থেকে ফেরার সময় বাড়ীর কাছে এসে ভুল বোঝাবোঝির কারণেই রামকৃষ্ণ সুজিতকে গালাগালি করে এবং বলেছিল তুই আমার বউকে ভালবাসিস।  তারপরে রামকৃষ্ণ সুজিতকে প্রথমে চড় মারে। পরবর্তীতে সুজিত রামকৃষ্ণকে একটি চড় মেরেছিল। রামকৃষ্ণ লাঠি দিয়ে সুজিতকে মারতে যায়। সেই লাঠি দিয়ে রামকৃষ্ণকে সুজিত সজোরে পরপর তিনটি আঘাত করে এবং রামকৃষ্ণর মৃত্যুর হয়। পরে বাঁশ বাগানে নিয়ে গিয়ে মৃতদেহ রাখা হয়।  গভীর রাতে স্বপ্নাকে নিয়ে এসে মৃতদেহ বয়ে নিয়ে আসে, প্লাস্টিকে মুড়ে খাটের নিচে রাখে। পরবর্তীতে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দেয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad