নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: 'সীমান্তে যারা আছে সশস্ত্র বল, বিএসএফ তাদের মানুষের সামনে আনা দরকার। গোরু পাচারকারীরা অনেক নীচে। মূল অপরাধী বিএসএফ। বিএসএফের একাংশ প্রহরার নামে গাদ্দারী করছে।' রাজ্যে গোরু পাচার তদন্তে সিবিআই-এর অভিযানের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের এই আধা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি মৌলানা সিদ্দিকুল্লাহ্ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রী মালদায় আসেন জমিয়তে উলামার একটি সংগঠনের কর্মসূচিতে। এদিন গাজোলে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু গাজোলে যাওয়ার আগে মালদা শহরের পুরনো সার্কিট হাউসে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন মন্ত্রী। পাশাপাশি এদিন জেলা সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি পদে নতুনভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় নজরুল ইসলামকে। তাঁর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে ওই সংগঠনের জেলা সভাপতির পদে নজরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করেন মন্ত্রী।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী মৌলানা সিদ্দিকুল্লাহ্ চৌধুরী বলেন, 'বিএসএফ বর্ডারকে সুরক্ষিত করতে যদি না পারে তাহলে দেশের মানুষকে কে সুরক্ষা দেবে। তুমি সরকারের উর্দি পড়েছ, হাতে আগ্নেয়াস্ত্র আছে, তার পরেও সীমান্ত কেন সুরক্ষিত থাকবে না! সীমান্তে গরু পাচারের ঘটনায় সশস্ত্র বিএসএফের যে ভূমিকা তা মানুষের সামনে তুলে ধরা দরকার। মূল অপরাধী তারাই। গোরু পাচারকারীরা তো অনেক নীচে রয়েছে । বিএসএফের একাংশ গাদ্দারী করেছে । তার খেসারত তো দিতেই হবে। মানুষ এর যোগ্য জবাব দিবে।'
এদিন বাবরি মসজিদ কাণ্ড নিয়ে বিজেপিকে এক হাত নিয়েছেন মন্ত্রী তথা জমিয়তে উলামার রাজ্য সভাপতি মৌলানা সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন , দেশের বিচার ব্যবস্থা কোথায় গিয়েছে বুধবারের রায়ে মানুষ বুঝতে পেরেছে। বাবরি কাণ্ডে যারা অপরাধী ছিল, তাদের বেকসুর খালাস করে দিয়েছে সিবিআই আদালত। আসলে কেন্দ্রে বিজেপির তত্ত্বাবধানে চলছে বিচার ব্যবস্থা, যার পরিণাম স্বরূপ বাবরি কান্ডের অপরাধীদের বেকসুর খালাস করে দেওয়া হল। মানুষ সবই দেখছে। দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে, যার পিছনে কেন্দ্রের এই বিজেপি সরকার অঙ্গুলিহেলনে সব চলছে।
No comments:
Post a Comment