ভর সন্ধ্যেয় বিজেপি নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হল উত্তর চব্বিশ পরগনার টিটাগড়ে।
ভর সন্ধ্যে বেলা টিটাগড় থানার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গুলি করা হলো টিটাগড় পৌরসভার বিদায়ী পৌরপিতা তথা বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য আইনজীবী মনীশ শুক্লার উপর।প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য টিটাগড় থানার ১০০মিটার দূরত্বে ওষুধের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল একজন স্থানীয় বাসিন্দা সাথে সেই সময় বেশ কয়েকটি বাইকে চেপে বেশ কয়েকজন যুবক এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে গুলি মাথা,বুক,পিঠ ও ঘাড়ে লাগে ।এরপরই প্রথমে তাকে ব্যারাকপুরের বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।এরপর তার অবস্থার অবনতি হলে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে।সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষনা করা হয়।এই ঘটনার পর উত্তেজনা শুরু হয় গোটা এলাকায়।উত্তেজিত জনতা অবরোধ করে বিটি রোড।তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছান নগরপাল মনোজ ভার্মা ও যুগ্ম নগরপাল অজয় ঠাকুর।এরপর নগরপাল ও যুগ্ম নগরপালকে ঘিরে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। ঘটনা নিয়ে স্থানীয় এক বিজেপি কর্মী জানান তৃণমূল থেকে গোটা ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।
বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ ছিল মনীশ শুক্লা। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় মনীশ শুক্লাকে গুলি চালিয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তার মাথায় ও বুকে গুলি লেগেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে বরাকপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, সেখান থেকে তাকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মণীশ শুক্লা হত্যার ঘটনায় সোমবার 12 ঘণ্টার বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। অভিযোগ, তৃণমূল এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘনিষ্ঠ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার পরে এমপি অর্জুন সিং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নিন্দা জানিয়েছেন।
তবে নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক স্পষ্ট করেছেন যে এই জাতীয় ঘটনাগুলির সাথে তার দলের কোনও যোগসূত্র নেই। তিনি পরিষ্কার করে বলেন যে তৃণমূল জড়িত ছিল না এই ঘটনায় । তৃণমূল সরকার সন্ত্রাসবাদের রাজনীতি করে না। তবে পুরো ঘটনাটি থানার সামনে সংঘটিত হওয়ার পর থেকে সাধারণ মানুষও সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মনীশ টিটগড়ের প্রাক্তন কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি বর্তমানে বিজেপি জেলা কমিটির সদস্য। বাম আমলে তিনি বারাকপুরের বাম সাংসদ তারিত বরণ তোপদারের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। রাজ্যে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরে দল পরিবর্তন করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় বারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শিলভদ্র দত্ত অনুগামী হয়েছিলেন। তৃণমূলে থাকাকালীন তিনি টিটাগড়ের কাউন্সিলরও ছিলেন। তবে লোকসভা নির্বাচনের সময় অর্জুন সিংয়ের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন।
No comments:
Post a Comment