প্রেসকার্ড নিউজ ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান ঘটনা দেখে সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি ভ্যাকসিন বা চিকিৎসার সন্ধান করার চেষ্টা করছেন। বিশ্বজুড়ে চিকিৎসা যত্নের ব্যবস্থাগুলি রোগীদের প্রতিদিনের যত্নে ব্যস্ত। একই সাথে, ভারতের লোকেরা অধীর আগ্রহে করোনার ভ্যাকসিন বা ঔষধের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে এটি বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ যে একটি সফল টিকা আবিস্কার হওয়ার পরেও পুরো জনগণ এটি পেতে কমপক্ষে দেড় বছর সময় লাগবে।
ততক্ষণে আমাদের সাবধান করতে হবে। মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা, শারীরিক দূরত্ব তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়াও, যাদের রোগীদের লক্ষণগুলি তীব্র নয়, তাদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের জন্য, করোনার যে রোগীরা ঘরে বসে আছেন তাদের অবশ্যই পালস অক্সিমিটার ব্যবহার করতে হবে। এটি কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে তাদের অক্সিজেনের স্তরটি পরীক্ষা করতে দেয়। আসুন আমরা বুঝতে পারি যে পালস অক্সিমিটার কীভাবে কাজ করে এবং এটি করোনার রোগীদের কীভাবে সহায়তা করে।
পালস অক্সিমিটার কী!
একটি পালস অক্সিমিটার একটি ছোট ডিভাইস যা রোগীর আঙুলের সাথে লাগানো হয়। এটি রোগীর নাড়ি এবং রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ দেখায়। এটি সাধারণত অস্ত্রোপচারের পরে রোগীর উপর নজরদারি করতে ব্যবহৃত হয়। শ্বাসকষ্টজনিত রোগের সাথে লড়াই করা রোগীরাও এটি বাড়িতে রাখেন। পালস অক্সিমিটার ডেটা নির্দেশ করে যে রোগীকে অতিরিক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন আছে কিনা।
কিভাবে ব্যবহার করে!
একটি পালস অক্সিমিটার একটি ক্লিপের মতো, যা আপনি আঙুল, কান বা পায়ের আঙ্গুলের সাথে সংযুক্ত করতে পারেন। এর পরে, ডিভাইসে একটি আলো ত্বকে প্রবেশ করে এবং ডিজিটাল স্ক্রিনে রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ দেখায়। এই পুরো প্রক্রিয়াতে, রোগী কোনও ধরণের ব্যথা অনুভব করে না।
কে কাজ করবে?
এটি রক্তের অক্সিজেনের স্তরের কারণে সৃষ্ট রোগগুলি পর্যবেক্ষণে অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী বাধাজনিত পালমোনারি রোগের পাশাপাশি এটি হাঁপানি, নিউমোনিয়া, ফুসফুসের ক্যান্সার, রক্তাল্পতা, হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ফেইলিওর মতো গুরুতর সমস্যার জন্যও কার্যকর হবে।
এই ডিভাইসটি করোনায় সহায়ক বলে প্রমাণিত করতে পারে
পালস অক্সিমিটারের করোনার ভাইরাস স্ক্রিনিং এবং পরীক্ষার প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন বলেছিলেন যে পোর্টেবল পালস অক্সিমিটার করোনার রোগীদের প্রাথমিক রোগ নির্ণয় করতে পারে, যা মৃত্যুহার হ্রাসে সহায়তা করবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পালস অক্সিমিটার রোগীদের মধ্যে 'কোভিড নিউমোনিয়া' প্রকাশ করে। মারাত্মক করোনার ভাইরাসের রোগীদের মধ্যে এই রোগটি প্রচলিত।

No comments:
Post a Comment