কেরিয়ার নিয়ে আবেগপ্রবণ বয়ান এই অভিনেতার

 

বিবেক ওবেরয়ের মতে, বলিউডের সর্বদাই একটি লবি ছিল, যার প্রভাব এবং শক্তি রয়েছে এক বিশাল উপায়ে। তারা এটিকে নিজের সমৃদ্ধ করতে এবং উপকৃত করতে ব্যবহার করেছে। একটি সাক্ষাৎকারের সময়, ৪৪-বছর বয়সী এই অভিনেতা বলেছেন যে, তিনি নিজেই এই লবি সংস্কৃতির শিকার হয়েছেন।

'যখন লোকেরা বলেছিল - দুঃখিত আমি আপনার সাথে কাজ করতে পারি না "

বিবেক বলছেন, "আমি সেই সময়টি দেখেছি যখন লোকেরা আমাকে বলেছিল, 'দুঃখিত, আমি আপনার সাথে কাজ করতে পারবো না, কারণ এক্সওয়াইজেড আমাদের এটি করতে নিষেধ করেছেন । "

বিবেকের মতে, তিনি অনেক আগে এই লবি পদ্ধতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে তিনি তখন কোনও সমর্থন পান নি। তিনি বলেন, "আমি এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে উঠে দাঁড়িয়েছিলাম এবং বলেছিলাম এটি অন্যায্য এবং সঠিক নয়। তবে আমি কাউকে পাইনি। এর জন্য আমাকেও এর মূল্য দিতে হয়েছিল।"

বিবেক আরও যোগ করেন, "এরপরে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে জীবন যাপনের সঠিক উপায় হ'ল নিজেকে এই সমস্ত থেকে আলাদা করা I

বিবেক ওবেরয় সাক্ষাৎকারে কারও নাম নেননি। এই মামলাটি ২০০৩ সালের ঘটনার সাথে সম্পর্কিত যখন তিনি সালমান খানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিবেক জানিয়েছিলেন যে, সালমান তাকে ২৯ মার্চ (২০০৩) বেলা ১২.৩০  থেকে সকাল ৫ টা পর্যন্ত ৪১ বার ফোন করেছিলেন। তাকে মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং অশ্লীল ব্যবহার করা হয়েছিল।

বিবেক ফারাহ খানের শো 'তেরে মেরে বিচ মেইন'-এ জানিয়েছিলেন যে এই ঘটনার পর রাত্রে তার ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যায়। বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা তাকে চলচ্চিত্র থেকে বরখাস্ত করেছিলেন। স্বাক্ষরের পরিমাণ প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এমনকি তাকে কোনও অ্যাওয়ার্ড শোতে আসতে বাধা দেওয়া হয়েছিল এবং তার পুরষ্কারটি অন্য অভিনেতাকে দেওয়া হয়েছিল।