বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান ঘিরে প্রাক্তন সেনা বলবিন্দর সিং এর পাগড়ি কান্ডে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
বিজেপি বনাম তৃণমূল বাগযুদ্ধ এখন রাজ্যপাল বনাম তৃণমূলে পরিনত হয়েছে। এদিন শিখ সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের সাথে দেখা করেন।
সংঘটনের দাবি যে ভাবে একটা সর্দারের মাথার পাগড়ি খুলে তাকে হেনস্তা করা হল সেটা একটা সম্প্রদায়কে অপমান করা হয়েছে। এছাড়া যে ভাবে তাকে বেআইনি ভাবে অ্যারেস্ট করে জেলে পাঠানো হয়েছে। তার জন্য দোষী পুলিশ আধিকারিকদের 295 ধারায় তাদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানালেন শিখদের প্রতিনিধি দল। তারা এই ঘটনার জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমার চাওয়ার দাবি ও জানান। আগামী কাল তারা হাওড়ার পুলিশ কমিশনারেটের দোষী পুলিশদের বিরোদ্ধে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন। শেষ রাজ্যপালের তাদের জানিয়েছেন যে তিনি এই বিষয় নিয়ে গত কালই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দোষী পুলিশ দের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থার নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
শিখ সম্প্রদায়ের সাথে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সাক্ষাৎ ঘিরে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের মহা সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপাল মহোদয় প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে রাজভবনে রাজ্যপালের আসনকে কলঙ্কিত করছেন। প্রতিদিন রাজভবনে বিজেপি নেতাদের অসত্য দাবি নিয়ে তিনি বাংলার জনগণকে অপমান করছেন। বিজেপি এবং রাজ্যপাল রাজভবনকে ষড়যন্ত্রর জায়গা তৈরি করেছে। শান্তিপ্রিয় রাজ্যে সম্প্রদায় গন্ডগোল বাঁধানোর চেষ্টা করছেন। বাংলার ঐতিহ্য বাংলা সব সম্প্রদায়ের লোককে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে। কিন্তু রাজ্যপাল তা প্রায় প্রতিদিনই যেভাবে কুবাক্য এবং বিজেপির সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস চুপ করে থাকতে পারে না। আজকে শিখ সম্প্রদায়কে নিয়ে এক জঘন্য রাজনীতি করবার চেষ্টা করছে। আমরা সব সম্প্রদায়ের মানুষকে ভালবাসি। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের কাছের। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা ধর্মান্ধতার ছড়াচ্ছেন ।রাজ্যপালও আগুন নিয়ে খেলছেন।
আমরা মনে করি দোষীদের ও অভিযুক্তের কোন সম্প্রদায় থাকেনা। আইন আইনের পথে চলবে প্রশাসন প্রশাসনের পথে চলবে। কিন্তু রাজ্যপাল রাজভবন এবং বিজেপি একত্রিত হয়ে এই রাজ্যের মানুষের প্রতি তার ঐতিহ্যকে তার পরিণতি যে ভাবে আঘাত করছেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ ও তার পছন্দ করবে না। আমরা পরিস্কার ভাষায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বলতে চাই রাজভবনে বসে রাজ্যপালের আসনটি কলঙ্কিত করা যাবে না। বিজেপি ও রাজ্যপাল একত্রিত হয়ে চক্রান্ত করছে। বাংলার মানুষ যেখানে লড়াই করছে, অতি মারি সংকটের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও সেই চেষ্টা করছেন। অর্থনৈতিক খারাপ অবস্থা থাকা সত্বেও রাজ্যের উন্নয়নের গতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কোন কিছু না পেয়ে পায়ের তলার মাটি না পেয়ে রাজভবনের মাটিকে ব্যবহার করে চক্রান্ত করছে।

No comments:
Post a Comment