সংবিধান অনুযায়ী জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা এবং রাজ্যটির নিজস্ব পতাকা ফিরিয়ে আনা না হল দেশের জাতীয় পতাকা (তিরঙ্গা) স্পর্শ করব না স্পষ্ট কর জানিয়ে দিয়ছন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিডিপি) সভাপতি মেহবুবা মুফতি। সেই সাথে উপত্যকায় গত বছরর ৫ আগস্টর পূর্বের অবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত নির্বাচন অংশগ্রহণ করবন না বলেও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।
শুক্রবার সংবাদ সম্মলন করে এসব দাবি তোলেন মেহবুবা। গত বছরর ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল (জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ) ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয় মোদি সরকার। এরপরই জম্মু-কাশ্মীরের নিজস্ব পতাকাও শ্রীনগর অবস্থিত রাজ্যটির সচিবালয় সরিয়ে ফেলা হয়। কেন্দ্রের তরফে জানানা হয়ছিল জম্মু-কাশ্মীর যেহেতু ভারতরই একটি অভিন্ন অংশ তাই উপত্যকায় একটিই মাত্রা পতাকা থাকবে-তা হল ভারতের জাতীয় পতাকা তিরঙ্গা।
এদিনের সংবাদ সম্মলন থেকে নিজর সামনে রাখা রাজ্যের পতাকা দখিয়ে মেহবুবা বলেন ‘আমার সামনই আমার পতাকা আছে। যখন এই পতাকা আমাদর কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে, তখনই অন্য কোনও পতাকা (তিরঙ্গা) স্পর্শ করবা। যতদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের নিজস্ব পতাকা ফিরে পাচ্ছি। ততদিন আমাদের হাতে অন্য কোনও পতাকা উঠবে না।
জাতীয় পতাকা নিয় মেহবুবার এই মন্তব্যের পরই তাকে গ্রফতারর দাবি তুলেছে বিজপি। গেরুয়া শিবিরের অভিমত বিশ্বর কোনও শক্তিই ৩৭০ ধারা কিংবা জম্মু-কাশ্মীরর নিজস্ব পতাকা ফিরিয় আনতে পারবে না। জম্মু-কাশ্মীরে বিজপি সভাপতি রবিন্দর রায়না জানান ‘আমি লেফটেন্যান্ট গর্ভনর মনাজ সিনহা’ক আর্জি জানাবা যে মহবুবার বিরুদ্ধে যেন রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা হয় এবং তাকে গ্রফতার করা হয়। আমরা আমাদের মাতৃভূমি ও জাতীয় পতাকার জন্য প্রতিটি রক্তবিদু দিতে রাজি। জম্মু-কাশ্মীর আমাদের দেশের অবিছেদ্দ অংশ। তাই সেখানে কেবল দেশের জাতীয় পতাকাই উত্তালন করা হবে।’
মহবুবার এই মন্তব্যকে সমর্থন করেনি কংগ্রেসও। জম্মু-কাশ্মীরের কংগ্রস সভাপতি জানান ‘আমাদের সমাজ এই ধরনের মন্তব্য সহ্য করবেনা ও কোনভাবেই গ্রহণযাগ্য নয়। এই বিবৃতি উপত্যকার মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করেছে।’
দীর্ঘ প্রায় ১৪ মাস গৃহবন্দী থাকার পর গত ১৩ অক্টাবর মুক্তি পান মেহবুবা। এরপর গতকাল শুক্রবার প্রথম সংবাদ সম্মলন করেন মেহবুবা। আর ওই সংবাদ সম্মলন থেকেই নরেন্দ্র মাদির নেতৃত্বাধীন সরকারকে তীব্র নিশানা করন তিনি।
মহবুবা বলেন ‘তারা (বিজপি) উপত্যকার সব কিছু নষ্ট করছে। কাশ্মীরের মানুষদের ক্ষতি হয় এমন সব সিদ্ধান্ত তারা গ্রহণ করেছে। তারা জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে চায় না। তারা কবল এই অঞ্চলটি ভাগ করত চায়। আমরা ভারতর গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপক্ষতাকে মেনে নিয়ছিলাম।
No comments:
Post a Comment