হুগলিতে বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে

 

রবিবার বাংলার হুগলি জেলায় একজন বিজেপি কর্মী গণেশ রায়ের মৃতদেহ গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক পরিবেশ আবারও উষ্ণ হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সকালে গোঘাট এলাকার খানতীতে তাঁর গ্রামের কাছে একটি গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় বিজেপি কর্মী গণেশ রায়ের লাশ পাওয়া গেছে। নিহতের ছেলে অভিজিৎ রায় এবং বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেছেন যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা তাকে হত্যা করে লাশটিকে একটি গাছের সাথে ঝুলিয়ে দিয়েছিল। ছেলের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূল সমর্থিত গুন্ডারা তার বাবাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। একই সঙ্গে তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলা হচ্ছে রায় শনিবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল।

পুলিশ জানিয়েছে যে তার মৃত্যুর পেছনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীরা কিছু সময়ের জন্য গোঘাট-আরামবাগ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এবং দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। পরে পুলিশ লোকজনকে রাজি করিয়ে বাধা সরিয়ে দেয়। এখানে, রাজ্য বিজেপি সভাপতি এবং এমপি দিলীপ ঘোষও অভিযোগ করেছেন যে রায়কে হত্যার পরে তৃণমূল তার লাশ গাছ থেকে ঝুলিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে তারা এই রাতে তার দলের কর্মীদের মধ্যে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য মধ্যরাতে এই কাজটি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে বিজেপি কর্মীদের হত্যার একটি নতুন ট্রেন্ড তৈরি হয়েছে তবে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ শুরু করব। তিনি বলেছিলেন, বিজেপির ক্রমবর্ধমান সমর্থনের কারণে তৃণমূল ভয় পেয়েছিল। হুগলির বিজেপি সাংসদ, লকেট চ্যাটার্জি বলেছেন যে এই নিষ্ঠুরতা বন্ধ করার দরকার রয়েছে। তিনি বলেছিলেন, গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়নরা কোথায় আছে এবং কেন তারা বাংলায় বিজেপি কর্মীদের হত্যার বিষয়ে চুপ রয়েছে?

একই সঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছিলেন যে এই ঘটনায় তাঁর দলের কোনও সদস্য জড়িত নেই। তিনি বলেছিলেন যে বিজেপি তার নিজের লোককে হত্যা করে রক্তের রাজনীতি করছে। যে কোনও মৃত্যুকে হত্যার এক রূপ বানিয়ে বিজেপি-র লোকেরা অশান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে।

এখানে আরামবাগ পুলিশ অফিসার নির্মল কুমার দাস বলেছিলেন যে সকালে আমরা গোঘাট রেলস্টেশন থেকে একশ মিটার দূরে গাছ থেকে গণেশ রায় নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে গণেশ মদ্যপ ছিলেন। আগের রাতে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে আসেননি তিনি। তার শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পুলিশ তদন্ত করছে এবং ময়না তদন্তের রিপোর্টের পরেই কিছুই বলা যাবে।