নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: স্বামী পেশায় টোটো চালক, এদিকে স্ত্রী অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার জন্য জেদ করেছিলেন স্বামীর কাছে। স্বামী কিনে দিতে না পারায় স্বামীর প্রতি অভিমান করে আত্মঘাতী' হলেন স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার দুপুরে পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়ী সারদা কলোনি এলাকায়।
মৃত স্ত্রীর নাম কৃষ্ণা প্রামানিক, ত্রিশ বছর বয়স। তার স্বামীর নাম দীনেশ প্রামানিক, পেশায় একজন টোটো চালক। পুরাতন মালদা মঙ্গলবাড়ী সারদাপল্লী এলাকায় ভাড়া বাড়ীতে থাকতেন তারা। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই স্ত্রী কৃষ্ণা প্রামানিক তার স্বামীর কাছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট কেনার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু তার স্বামী দীনেশ প্রামানিক তাকে পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছিলেন, তিনি দিতে পারবে না। এই নিয়েই প্রায়ই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ চলত।
এদিকে রবিবার দুপুরে টোটো নিয়ে যখন তার স্বামীর বাড়ী থেকে বেরিয়ে যান, তার ফাঁকে নিজের শোওয়ার ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই গৃহবধূ। দুপুরে খাবার সময় যখন বাড়ীতে যায় দীনেশ, তখনই তার স্ত্রীর কৃষ্ণা প্রামাণিকের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় সে। সকলে মিলে তখনই সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসকরা দেখেই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের ঘরের সামনে ছুটে চলে আসেন ওই গৃহবধূর বাবা বাদল সূত্রধর। তিনি নিজেও মেয়ের এই জেদের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, আজ সকালেও তার মেয়ে তাকে ফোন করে মোবাইল ফোন কেনার বিষয়টি জানায়। বাবা বাদল সূত্রধর মেয়েকে বোঝায় অহেতুক এই মোবাইল কেনার বিষয়ে জামাইকে যাতে কোনরকম চাপ না দেওয়া হয়। তারপরেই বিপদ ঘটে যায়; বাবা ও স্বামীর কাছ থেকে এরকম আচরণ পেয়ে স্বামীর প্রতি অভিমান করে নিজে শোওয়ার ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই গৃহবধূ। মৃত ওই গৃহবধূর কে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য আনা হয়। এ বিষয়ে পুরাতন মালদা থানার বিষয়ে পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন।
No comments:
Post a Comment