নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুর: এক সব্জীর আড়তদার ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টা দুষ্কৃতিদের। অভিযোগ এলোপাথাড়ি অস্ত্র চালিয়ে ওই আড়তদারের কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতিরা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ থানার বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তাহেরপুর এলাকায়। গুরুতর জখম ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামকে প্রথমে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাহেরপুর এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ও চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। দুষ্কৃতিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মালগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সব্জীর ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম রায়গঞ্জের বিভিন্ন বাজারে পাইকারি দামে সব্জী বিক্রি করেন। শনিবার বিকেলে রায়গঞ্জের বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে সাইকেল চেপে বাড়ী ফিরছিলেন। পথে বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তাহেরপুর এলাকায় একদল দুষ্কৃতি তাঁর পথ আগলে দাঁড়ায়। টাকা ছিনতাই করার চেষ্টা করলে নুরুল ইসলাম বাধা দিলে দুষ্কৃতিরা তাঁকে এলোপাথাড়িভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পেটের নাড়িভুড়ি ছিঁড়ে যায় তাঁর। এরপর তাঁর কাছে থাকা সমস্ত টাকা পয়সা ছিনতাই করে দুষ্কৃতিরা এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে এলাকা থেকে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ সেখানকার বাসিন্দাদের। এলাকার বাসিন্দারা রক্তাক্ত, গুরুতর জখম ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামকে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সব্জী ব্যবসায়ী নুরুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম জানিয়েছেন, স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁর স্বামীর কাছে থাকা মোবাইল ফোন থেকে তাঁকে খবর দেন। তিনি ছুটে যান রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। স্বামীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকেরা তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেন। আনোয়ারা বেগম বলেন, তাঁর স্বামীর কোনও শত্রু ছিলনা। টাকা ছিনতাই করতেই দুষ্কৃতিরা তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই তাহেরপুর এলাকায় ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। দুষ্কৃতিদের খোঁজে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

No comments:
Post a Comment