২১-এর লক্ষ্যে প্রস্তুতি তুঙ্গে! বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার 'চ্যালেঞ্জ' ছুঁড়ে দিলেন দিলীপ - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, 4 September 2020

২১-এর লক্ষ্যে প্রস্তুতি তুঙ্গে! বাংলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার 'চ্যালেঞ্জ' ছুঁড়ে দিলেন দিলীপ

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতাএকুশের লক্ষ্যে এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বঙ্গ বিজেপি। ৪ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজ 'গণতন্ত্র বাঁচাও দিবস'। এই দিন থেকে শুরু হয়ে গেল বিজেপির 'গণতন্ত্র বাঁচাও' কর্মসূচি। এই ইস্যুকে সামনে রেখে শুক্রবার সকাল থেকেই জেলায় জেলায় প্রত্যেক বিডিও অফিসের সামনে চলে বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ। আর এই দিনই কলকাতার মেয় রোড থেকে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার 'চ্যালেঞ্জ' নিলেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এদিন মূল বিক্ষোভ সভার আয়োজন করা হয়েছিল কলকাতার মেয় রোডে। ধর্না মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, রাহুল সিনহা সহ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, 'গত এক বছরে তাদের কয়েক হাজারেরও বেশি কর্মী খুন হয়েছে। অথচ সেই সমস্ত খুনের বিচার হয়নি।' প্রত্যেক খুনের নেপথ্যে শাসকদলের হাত থাকায় তার বিচার হচ্ছে না বলেই এদিন সরব হন তিনি। 'তবে শুধুমাত্র বিজেপি কর্মীদের ওপরেই নয়, শাসক দলের আক্রোশ নেমে এসেছে সাধারণ মানুষের ওপরও।'

এই পরিস্থিতি থেকে অব্যাহতির জন্য বিজেপিই একমাত্র পথ বলে এদিন হুংকার দেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। একুশে সরকার গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে দিলীপ বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র আমরাই প্রতিষ্ঠা করব।' এছাড়াও নারী নির্যাতন, আমফানে ত্রাণ দুর্নীতি সহ কোভিড মোকাবেলায় রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা এই সকল বিষয়ই এদিন তুলে ধরা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নিয়ে দিলীপ ঘোষ, 'মানুষ সব বুঝে গিয়েছে। এখন তাই হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যে ইভিএমে ভোট হয় দিদিমণি নির্বাচনে জিতেছেন, এখন সেই ইভিএম-এর বিরুদ্ধে তিনি লড়ছেন।'

উল্লেখ্য, ভোটের বাদ্যি বেজে গিয়েছে অনেকদিন আগেই। প্রত্যেকটি দলই নিজের নিজের মতো করে শুরু করে দিয়েছে প্রচার। যদিও করোনা আবহে এবার বেশ কিছু নিয়ম বিধি মেনে চলতে হচ্ছে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকেই। সেই কারণেই এখনও পর্যন্ত সমস্ত দলের প্রচার মোটামুটিভাবে সীমাবদ্ধ ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় বা ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী আনলক-৪ এ ৩০ শে সেপ্টেম্বরের পর থেকে রাজনৈতিক সবার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে তার আগেই এইদিনই কার্যত কলকাতার রাস্তায় গণতন্ত্র বাঁচাও কর্মসূচির মাধ্যমে রীতিমতো রাজনৈতিক সভা শুরু করল বিজেপি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad