ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) নয়টি আল কায়েদার সন্ত্রাসীর জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর প্রকাশ করেছে। সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যরা বাংলার চারটি জেলা - মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর এবং বীরভূমে তাদের ঘাঁটি তৈরি করেছিল। এই জেলার দরিদ্র যুবকদের মগজ ধোলাই করে। তাদের বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। সিএএ এবং এনআরসি-র বিরোধিতার অজুহাতে যুবকদের সংগঠনের সাথে যুক্ত করা হয়েছিল, তারপরে তাদেরকে জিহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল। তাদেরকে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী ওসামা বিন লাদেন এবং আল জাওয়াহিরির ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছিল। শনিবার গভীর রাতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এনআইএ কর্মকর্তারা রবিবার দিনভর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সোমবার তাদের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এনআইএ সূত্র জানায়, পাকিস্তান-পৃষ্ঠপোষকতাযুক্ত আল-কায়েদা জঙ্গিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ব্যক্তিদের রেডিক্যালাইজ করেছে। প্রত্যেকে পাকিস্তানে বসে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তত্ত্বাবধানে কাজ করেছেন। কখনও কখনও বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাসীরা অবৈধভাবে এখানকার ঘাঁটিগুলিতে সীমান্ত অতিক্রম করে আসত এবং উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিয়ে সংগঠনের নতুন সদস্যদের উস্কে দিতো।
এনআইএ সূত্রে খবর, আল-কায়েদার এই সন্ত্রাসীরা আইইডি তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তাদের কাছ থেকে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট তৈরির সামগ্রীও পাওয়া গেছে। কাশ্মীরে সহকর্মীদের কাছে বিস্ফোরক (আইইডি) এবং বুলেট-প্রুফ জ্যাকেট সরবরাহ করতে হয়েছিল। এখনও অবধি তদন্তে জানা গেছে যে দিল্লিসহ দেশের অনেক মেট্রো শহর তাদের লক্ষ্যবস্তু করেছিল। কর্মকর্তারা তাদের লক্ষ্য এবং পরিকল্পনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন। মোবাইল ফোনের কথোপকথনের মাধ্যমে ২২ সদস্যের একটি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক প্রকাশ পেয়েছে।
বেঙ্গল পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) আল কায়েদার সন্ত্রাসীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি নেওয়া হবে। যদি এনআইএ তাদের দিল্লি নিয়ে যায়, তবে এসটিএফ দল সেখানে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
No comments:
Post a Comment