নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর: গত ৭২ ঘণ্টায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বৃষ্টি না হলেও বাংলাদেশ সহ উত্তরবঙ্গের নদীগুলির মধ্যে আত্রেয়ী, পুর্নভবা ও টাংগন ফুঁসলেও বৃষ্টি না হওয়ায় তাদের গতি অনেকটাই আজ স্থিমিত। তবে এরমধ্যে একমাত্র ব্যাতিক্রম টাংগন। অন্য দুটি নদীর জল একটু একটু করে কমতে শুরু করলেও টাংগন নদীর জল বাড়ছে বলে জেলা সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। অনেকেই বাড়ী ছেড়ে নিরাপদ উঁচু জায়গায় অথবা ত্রাণ শিবিরে গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। অন্যদিকে, পুনর্ভবার জলে তপন ও গঙ্গারামপুরে বহু এলাকায় জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। ত্রাণ নিয়েও অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাজুড়ে ৬১টি রিলিফ ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সেখানে ৩১০৫ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
এদিকে তপন ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ২৫টি গ্রাম পুনর্ভবার জলে প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে জল বাড়ায় অনেকেই ফ্লাড শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছেন। সোমবার রাতে পুনর্ভবার বাঁধ ভেঙে রামপাড়া চ্যাঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গনাহারে বাধ ভেংগে পুনর্ভবার জলে প্লাবিত। পাশাপাশি ওই জলের তোড়ে গনাহারের এলাকার আশপাশের বিস্তীর্ন এলাকা ভেসে গিয়েছে। সেই সব গ্রামগুলির সাথে সুতাইল, নওগাঁ, কসবা, বাটর, মান্দাপাড়া সহ বেশ কিছু এলাকা নতুন করে জলমগ্ন হয়। গ্রামবাসীরাই প্রথমে বাঁধ মেরামতের কাজে হাত লাগান। পরে সেচ দপ্তর ব্যবস্থা নেয়।
অপরদিকে তপনের প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা এবং পুনর্ভবা নদী বাঁধ ঘুরে দেখেন জেলাশাসক নিখিল নির্মল, অতিরিক্ত জেলা শাসক (ভূমি ও রাজস্ব) প্রণব কুমার ঘােষ, তপনের বিডিও সহ আধিকারিকরা।তারা বন্যা কবলিত মানুষজনের কথা শুনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
No comments:
Post a Comment