জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আমজনতার রোষানলের শিকার তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday, 24 September 2020

জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে আমজনতার রোষানলের শিকার তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর


নিজস্ব সংবাদদাতা, শিলিগুড়িবুধবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক অশোক ভট্টাচার্যের  পরিদর্শনের পর পরই বৃহস্পতিবার  জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে যান শিলিগুড়ি পুরনিগমের  বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব থাকা কোঅর্ডিনেটর রঞ্জন সরকার। 

এদিন ৫ নম্বর বরো অফিসের  অন্তর্গত বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড ও দুই নম্বর বরো অফিসের অন্তর্গত বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন রঞ্জন সরকার। সঙ্গে ছিলেন ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর  রঞ্জন শীল শর্মা, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর সত্যজিৎ অধিকারী,  ৪১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুবি রায়। তবে চল্লিশ নম্বর ওয়ার্ড আশ্রফ নগর ও গিতল পাড়ায় পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েন এলাকার কো-অর্ডিনেটর  সত্যজিৎ অধিকারী। সকলের সামনেই প্রকাশ্যে স্থানীয়দের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন কাউন্সিলর সত্যজিৎ অধিকারী। বিষয়টিকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো সমাধান করতে গিয়ে ভর্ৎ‌সনার মুখে পড়তে হয় রঞ্জন সরকারকে।

উল্লেখ্য, ৪০ নম্বর ওয়ার্ড অন্তর্গত আশ্রফ নগর ও গীতল পাড়া বর্তমানে জলমগ্ন। পাকা রাস্তা ও নিকাশি ব্যবস্থার ছিটে ফোটাও নেই ওই এলাকায়। প্রত্যেক বছর অল্প বৃষ্টিতেই জল বন্দি হন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, কাজ তো দূরের কথা, কাউন্সিলরের দেখা পর্যন্ত পাওয়া যায় না। এদিন এলাকার কো-অর্ডিনেটরকে পেয়ে  স্থানীয় বাসিন্দারা প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে  দেন। তারা জানান, এলাকার কাউন্সিলর সত্যজিৎ অধিকারী কাজ নিয়ে রাজনীতি করছে, সেই কারনে তাদের এলাকার অবস্থা বেহাল। স্থানীয়দের এমন অভিযোগে হতচকিত হয়ে পড়েন বিরোধী দল নেতা  রঞ্জন সরকার। তিনি সমস্ত বিষয়টি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত চাপাবাজ চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয়দের ক্ষোভকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ এলাকার কো-অর্ডিনেটর সত্যজিৎ অধিকারী। 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad