নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুর: নদীর মতন করে জলের স্রোত বইছে রাস্তা কিংবা গ্রামের উপর দিয়ে। রাজ্য সড়কের উপর কালভার্ট ভেঙ্গে ভাসল গ্রাম। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে তুমুল বৃষ্টি। সব মিলিয়ে এহেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গ্রামের অসহায় মানুষজন। চোপড়া ব্লকের মেধা বস্তি গ্রামে কালভার্ট ভেঙ্গে যাওয়াতেই এই দুর্যোগ।
অভিযোগ, কালভার্টটি সাত দিন আগেই ভাঙ্গা শুরু হয় আর এরপর বুধবার জলের তোড়ে তা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। রাজ্য সড়কের উপর প্রায় কুড়ি মিটার ভাঙ্গনের ফলে সেখানে জলের স্রোত বইছে তীব্র গতিতে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও বিপর্যস্ত। এর জেরে মেধা বস্তি থেকে নারায়নপুর এবং বাকসাবাড়ি সহ একাধিক গ্রাম গুলির সঙ্গে বন্ধ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে রয়েছে। অবিলম্বে জরুরী কালীন ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেবে। ঘরবন্দী মানুষগুলো কোথাও যেতে পারছেন না। চোপড়া যেতে হলে অনেককেই কুড়ি কিলোমিটার ঘুরে যেতে হচ্ছে। এ বিষয়ে বিডিও কে জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধানের প্রতিনিধি তথা স্বামী মহম্মদ হানিফ।
অন্যদিকে অপর এক গ্রামের সড়কের উপর দিয়ে বইছে জল। একটানা বৃষ্টিতে শুরু হয়েছে ভাঙ্গন, তলিয়ে যাচ্ছে গ্রাম। ভেঙে যাচ্ছে বাড়িঘর। এমনই পরিস্থিতির শিকার চোপড়া ব্লকের চোপড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আরালি গ্রামের বাসিন্দারা। এর আগেও বিষয়টি প্রশাসনের নজরে নিয়ে এলেও কোনরকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এমনকি বুধবারও জানানো হয়েছে প্রশাসনকে। যদিও প্রশাসনের উপর ভরসা হারিয়ে গ্রামবাসীরা জলের মধ্যেই নেমে পড়েছেন কাজে। যে সমস্ত ঘর-বাড়ী ভেসে যেতে চলেছে তা রক্ষা করতে এবং ভেঙে যাওয়া ঘরগুলি মেরামত করতে একজোট হয়ে কাজে নেমে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। এলাকার বাসিন্দা ফতেবুল রহমান জানান, একটানা ভারী বৃষ্টিতে রাতভর জেগে বসে রয়েছে গোটা গ্রাম। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা গ্রামে। চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহম্মদ আজাহার উদ্দিন জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বিডিও এবং ডিএমের সঙ্গে কথা হয়েছে।। বিষয়টি জানানো হয়েছে সেচ দপ্তরেও। অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
No comments:
Post a Comment