তাহলে কী মৃত্যুর ৫ দিন আগেই সব কিছু বুঝে গেছিলেন সুশান্ত?

 

কমবেশি ধাঁধা হয়ে উঠেছে সুশান্তের ডেথ কেস, প্রতিদিন নতুন নতুন প্রকাশ নিয়ে আবার শিরোনামে ফিরছে। এই ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশ হ'ল সুশান্তের এসওএস। যা তিনি তার বোন মিতু সিংয়ের সাথে তার মৃত্যুর ৫ দিন আগে ২ জুন করেছিলেন। সুশান্ত বলেছিলেন, আমি ভয় পাচ্ছি, আমাকে মেরে ফেলবে।

তার নিরাপত্তা নিয়ে সুশান্তের উদ্বেগ এলো যখন ৮ ই জুন রিয়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে ল্যাপটপ, ক্যামেরা, হার্ড ড্রাইভের মতো জিনিস ছিনিয়ে নিয়েছিল।

টাইমস নাউয়ের খবরে বলা হয়েছে, সুশান্ত এর আগে এই বার্তায় উল্লেখ করেছিলেন, যে তিনি রিয়াকে অনেকবার কল করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু রিয়া তার ফোন রিসিভ করেনি। এটিতে এটি লেখা হয়েছিল - তাঁর সাথে কথা বলা আমার পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমি আশঙ্কা করি যে এই লোকেরা আমাকে কোনও কিছুতে জড়িয়ে দেবে।

সুশান্তের ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানি সিবিআইয়ের কাছে নিজের বিবৃতিতে একই কথা বলেছেন। সম্প্রতি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে পিঠানি বলেছেন - 'দিশার মৃত্যুর সংবাদ শুনে সুশান্ত অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। তিনি যখন আবার চেতনায় ফেরেন, তখন তিনি বলেছিলেন যে তারা আমাকে মেরে ফেলবে। পরে তিনি তার সুরক্ষা বাড়ানোর কথাও বলেছিলেন। শুধু তাই নয়, রিয়াও নিয়মিত ফোন করছিল, কারণ সে তার ল্যাপটপ, হার্ড ড্রাইভ এবং ক্যামেরা কেড়ে নিয়েছিল এবং সবার পাসওয়ার্ড জানত'।

সুশান্তের মৃত্যুর ৯৭ দিন পরে এই তথ্য প্রকাশ করা যেতে পারে। এই মামলার তদন্তে মুম্বাই পুলিশের ভূমিকা প্রথম থেকেই সন্দেহজনক। মুম্বই পুলিশ সুশান্তের মোবাইল ফরেন্সিক তদন্ত ২৪ দিনের পরে পাঠিয়েছে। যার মধ্যে কেবল এটিই প্রকাশ পেয়েছিল যে সুশান্ত মারা যাওয়ার আগে এবং মৃত্যুর উপায় খুঁজে বের করার আগে নিজেকে গুগল করছিলেন।

এসওএস বৈশিষ্ট্যটি কী

এসওএস একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। যার মধ্যে ইতিমধ্যে যাচাই করা ফোনের সিস্টেমে একাধিকবার লক বা ভলিউম কী টিপে একটি স্বয়ংক্রিয় জরুরী বার্তা প্রেরণ করা যায়। এই বার্তাটি সেই ব্যক্তির ফোনে যায় যাকে আপনি জরুরি অবস্থায় প্রথমে সাহায্যের জন্য কল করতে চান। এসওএসের মাধ্যমে ফটো বা ভয়েস বার্তা প্রেরণ করা যায়। যাতে সামনের ব্যক্তিটি কোথায় এবং কী পরিস্থিতিতে জানেন  ।