অথচ এদের চুলকানিটা আমার জানা নেই।
আমি কখনো নাস্তিকতাবাদী কিংবা নারীবাদী নিয়ে মাথা ঘামাইনি।
এবং মনে প্রাণে বিশ্বাস করি প্রত্যেকেরই স্বাধীন বিশ্বাসে চলার অধিকার আছে।
আচ্ছা আপনাদের একটা প্রশ্ন করি-
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার হিসেবে ঠিক কত শতাংশ নারী বা পুরুষ নাস্তিক বলতে পারেন?
আমার হিসেবে ০.৪৭% বোধহয় কিংবা তারও কম হতে পারে।অথচ তারা যেভাবে বাকী ৯৯.৫৩%কে আঘাত করে বা উস্কানিমূলক কথা বলে আমার মনে হয় যদি ৯৯.৫৩শতাংশরা বাস্তবিক ভাবেই তাদেরকেও পালটা কথার আঘাতও করতো তবুও তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের ব্যাঘাত ঘটতো।
তা কিন্তু ঘটেনা।
তাদের উস্কানিমূলক লেখালেখি বা বক্তব্যে দু একজন যদি মেজাজ খুঁইয়ে কিছু একটা বেফাঁস মন্তব্য করে বসে তাহলেও এরা পুরো দেশটাকে জঙ্গিবাদের আস্তানা বানিয়ে দেয়।আর ভোর রাতে ঘুম ভেঙেই জায়নামাজ খোঁজা সরকার তাদের কথায় প্রভুভক্ত প্রাণীদের মতো ল্যাজ নাড়তে নাড়তে জঙ্গি খুঁজতে রাস্তায় নেমে পড়ে।অথচ একজন মাকে যখন শ্রেফ পোশাকের জন্য আফগানি মা;জঙ্গী মা বলে এরা মন্তব্য করে তখন নাস্তিকদের তোষণকারী অতি ধার্মিক সরকার টু শব্দটি পর্যন্ত করেনা!
বেশিরভাগ নারীবাদীরা বা তাদের জননী তসলিমা নাসরিনও কিন্তু আম পাবলিককে এটা বুঝাতে চায় যে আমরা মনের স্বাধীনতার কথা বলি;আমার যা ইচ্ছে তা পরিধান করবো;আমার যা খেতে ইচ্ছে করে আমি তা খাবো;আমার যেথা ঘুরতে ইচ্ছে করে বা যেখানে রাত্রি যাপন করতে ইচ্ছে করে আমরা তা-ই করবো সেটি নিয়ে যারাই মন্তব্য করবে আমরা তাদের জঙ্গি বানিয়ে ছেড়ে দেবো।বুঝলাম।
কিন্তু স্বাধীনতা কি শুধু তাদেরই প্রাপ্য?
বোরখা পরিধানের স্বাধীনতা থাকা যাবেনা এদেশে?
ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকা যাবেনা?
দাঁড়ি রাখার স্বাধীনতা থাকা যাবেনা?
কেনো যাবেনা তার কোনো ব্যাখ্যা আছে কি তাদের কাছে?
কেউ একজন যদি কোনো নারীবাদীর পোশাক নিয়ে মন্তব্য করে ;যদি তার জীবন যাপন নিয়ে মন্তব্য করে সে যদি জঙ্গি হয়ে যায়;শুধুমাত্র একজন মায়ের পোশাকের কারনে যদি তাকে আফগানি মা;জঙ্গি মা ডাকা হয় তখন তারা কি হয়?
তাদের কি বিচার করা জরুরি নয় যারা জোর করে এদেশটাকে জঙ্গি রাষ্ট্র প্রমাণ করতে সকাল সন্ধ্যা চেষ্টা করে যাচ্ছে?
নাকি শুধু তাহাজ্জুদের আগে উঠে জায়নামাজ খুঁজলেই হবে?
তোমার যদি মনে হয় ধর্ম না মানা স্বাধীনতা তা যেমন আমরা মানি;তাহলে তোমাকেও মানতে হবে ধর্ম মানাও স্বাধীনতা।
আমার স্বাধীনতায় কটুক্তি করলেও এর জন্য ব্যবস্থা নেয়া রাষ্ট্রেরই কর্তব্য। নাকি নয়?
লেখক : কাজী ফয়েজ আহমেদ । বাংলাদেশ ।
No comments:
Post a Comment