বিশ্বভারতী কাণ্ডে মমতাকে চিঠি রাজ্যপালের - pcn page old

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, 19 August 2020

বিশ্বভারতী কাণ্ডে মমতাকে চিঠি রাজ্যপালের

বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনার জন্য দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লিখেছিলেন।


গভর্নর মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন, 'বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বর্বর ঘটনা ঘটেছিল তা নিয়ে চারদিকে ক্ষোভ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে অশ্লীল কাজে ব্যবহার করায় নিযুক্ত মানুষের জবাবদিহিতা ঠিক করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আহ্বান জানানো হয়েছে। কবিগুরুর স্বপ্নের বিশ্বভারতীর প্রাচীন পরিচয় এবং মহিমা রক্ষার সময় এটি।'


দ্বিতীয় ট্যুইট বার্তায় গভর্নর লিখেছেন, 'প্রতিটি সমাজই সঠিক এবং ভুলের মধ্যে একটি লাল রেখা আঁকে। যা ভুল তাকে ভুল বলা হবে। এই ঘটনার পেছনে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া উচিৎ এবং এটি দেখা উচিৎ যে ভবিষ্যতে এ জাতীয় ঘটনা পুনরায় পুনরুত্থিত হয় না। বিশ্বভারতীতে ১৭ আগস্টের দৃশ্যটি অত্যন্ত ভয়াবহ।' একই সঙ্গে, অন্য একটি ট্যুইটে গভর্নর বলেছিলেন যে নিঃসন্দেহে আমাদের সবার গুরুদেবের প্রিয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর প্রাঙ্গণের ঐতিহাসিক পরিচয় সংরক্ষণের দিকে কাজ করা দরকার।


এর আগে সোমবার, রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ফোনেও কথা বলেছিলেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।


তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সোমবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক পৌষ মেলা মাঠে দেয়ালটি নির্মাণের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ জনতা প্রতিবাদ করে এবং নির্মাণকক্ষে ইট ও সিমেন্ট নিক্ষেপ করে। শুধু তাই নয়, হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঐতিহাসিক গেটও ভেঙে দেওয়া হয়েছিল এবং অনেক আসবাব ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।


এই ঘটনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর  নরেন্দ্র মোদী নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সাথে ফোনে কথা বলেছিলেন এবং ঘটনার বিস্তারিত তথ্য নিয়েছেন। অন্যদিকে, ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad