সোমেন মিত্রের উত্তরাধিকারীর খোঁজে কংগ্রেস

পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের মৃত্যুতে দলের নেতৃত্বের সংকট দেখা দিয়েছে। এখন দলের এমন একটি নেতার প্রয়োজন আছে যিনি পরের বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে শক্তিশালী করতে পারেন।

বৃহস্পতিবার কলকাতার একটি হাসপাতালে মারা গেলেন তিনবারের রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, দলীয় কর্মীদের মধ্যে এমন তরুণ নেতার ঘাটতি রয়েছে যাদের উপর দল বাজি খেলতে পারেন। তাই দলটিকে তার পুরানো নেতাদের উপর নির্ভর করতে হবে।

এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বী তিন নেতার মধ্যে রয়েছেন রাজ্যসভা সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য্য, লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলীয় নেতা আবদুল মান্নান। ভট্টাচার্য ও চৌধুরী দুজনেই এর আগে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

দলের একজন প্রবীণ নেতা বলেছেন, 'অধীর রঞ্জন চৌধুরী রাজ্য ইউনিটের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেবেন, কারণ লোকসভায় ইতিমধ্যে তিনি খুব গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। আবদুল মান্নান এবং প্রদীপ ভট্টাচার্য সম্ভাব্য দুটি বিকল্প। রাজ্যসভার সদস্য ভট্টাচার্যের এই বিষয়ে কিছুটা ধারনা রয়েছে, কারণ তিনি আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে ছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাতে, পশ্চিমবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত তথা অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির ইনচার্জ গৌরব গোগোই রাজ্যে আসেন। মিঃ গোগোই সম্ভবত এই বিষয়ে রাজ্য নেতাদের সাথে একটি বৈঠক করবেন। কংগ্রেস নেতা নিজের নাম গোপন রাখার শর্তে বলেছেন, "দলের বেঙ্গল ইউনিটে অতীতে ভাল নেতার অভাব ছিল না। তবে সংগঠনে এমন কোনও তরুণ নেতা নেই যাঁকে রাষ্ট্রীয় ইউনিটের নেতৃত্ব দেওয়া যেতে পারে।"

তিনি বলেছেন যে, এ জাতীয় বেশিরভাগ কংগ্রেস নেতারা গত দুই দশকে দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে চলে গিয়েছেন, যারা তাদের সাংগঠনিক দক্ষতা এবং বক্তৃতা দক্ষতার জন্য পরিচিত ছিলেন।

দলের বেঙ্গল ইউনিটের অতীতে ভাল নেতার অভাব ছিল না। তবে, সংগঠনে এমন কোনও তরুণ নেতা নেই যাঁকে রাষ্ট্রীয় ইউনিটের নেতৃত্ব দেওয়া যেতে পারে।

একজন কংগ্রেস নেতা, সোমেন মিত্রের নেতৃত্বে কংগ্রেসে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)- এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই-এম) নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্টের সাথে একটি জোট গঠন করেছিল। সোমেন মিত্র এমন সময়ে মারা গেলেন, যখন দলটি তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির বিরুদ্ধে রাজ্যে তৃতীয় বিকল্প গঠনের চেষ্টা চলছিল।

আশা করা যায় না যে অধীর রঞ্জন চৌধুরী রাজ্য ইউনিটের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেবেন, কারণ তিনি ইতিমধ্যে লোকসভায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। আবদুল মান্নান এবং প্রদীপ ভট্টাচার্য সম্ভাব্য দুটি বিকল্প। রাজ্যসভার সদস্য ভট্টাচার্যের এই বিষয়ে কিছুটা ধারনা রয়েছে, কারণ তিনি আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে ছিলেন। দেখা যাক এখন আগে কী হয়!