কালিন্দী রায়মঙ্গল নদীতে মৎস্যজীবীদের নৌকা লুটপাট, মারধর, অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া এইসব অনেক অভিযোগ এই দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে ছিল পুলিশের কাছে। এর পিছনে মূল মাথা ছিল আন্তর্জাতিক জলদস্যুর। সীমান্ত নদীগুলোতে জলদস্যুরা মৎস্যজীবীদের উপর লাগাতার হামলা চালাত। জনাব-এর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলা কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকরা পুরো বিষয়টি জানতে পেরে সীমান্তের এপারে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক করে।
এই জলদস্যুদের মূল পান্ডার বাড়ী বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায়, তার নাম জনাব বাইন। বসিরহাট পুলিশ জেলার আধিকারিকরা জানতে পারে জনাব মূল পান্ডা, বাংলাদেশি জলদস্যু ও ভারতীয় জলদস্যুদের নিয়ে যৌথ ভাবে তৈরি করেছে জনাব বাহিনী গ্যাং, যেটা আন্তর্জাতিক জনাব গ্যাং বলে পরিচিত। গত রবিবার বসিরহাট থানার পুলিশ তথ্য সম্পূর্ণ গোপন রেখে ধলতিথা গ্রাম থেকে জনাব বাহিনীর মূল পান্ডা জনাব বাইনকে গ্রেফতার করে। ধৃত জলদস্যুকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। এর পিছনে আন্তর্জাতিক অন্য কোন আতঙ্কবাদীর যোগ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি এই জনাব বাহিনীর জলদস্যুর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সেটা নিয়ে খোঁজ চালাচ্ছে বসিরহাট জেলার সীমান্ত লাগোয়া থানার গ্রামগুলোতে।

No comments:
Post a Comment