সকাল থেকে চা চক্রই নিউজ হয়, আমি ফুটপাতে দাঁড়িয়ে লোকের সাথে চা খাই: দিলীপ ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা: 'কিছু বুথ কমিটি এখনও আমরা তৈরি করতে পারিনি। ইচ্ছে থাকলেও লোকে ভয়ের কারণে আসে না।' মালদায় চা-চক্রে বললেন দিলীপ ঘোষ। এদিন পুলিশের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, বিগত চার পাঁচ মাস ধরে তিনি এবং প্রদেশের নেতারা আসতে পারেননি যার জন্য গতিবিধি সঠিক পরিচালনা করা যায়নি। তবে এখন সবাই নতুন উদ্যমের সাথে আত্মনির্ভর ভারত গড়ার কাজে লেগেছে।' নতুন করে সদস্যতা অভিযানের উপরেও কাজ চলছে বলে জানান তিনি, আগামী দিনে তিন কোটি সদস্য পশ্চিম বাংলাকে উপহার দেয়ার পরিকল্পনাও তৈরি হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন যে, 'এখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই লড়তে হবে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রশাসন, শিল্প সব কিছুর ভীত এখন ভেঙে পড়েছে। তাই এদের নতুন করে গড়ার দায়িত্ব নিতে হবে এবং লড়াই করে যেতে হবে। আর লোকেরাও চাইছে যে এই শুভ কাজের সূচনাটা বিজেপির হাত ধরেই হোক।

তিনি আরও বলেন যে, 'সরকার বিভিন্ন অনৈতিক কাজ পুলিশের দ্বারা করেছে। সরকারের যখন হেরে যাওয়ার ভয় তৈরি হয় মনে তখনই তারা এমনটা করে। পুলিশের এরূপ কাজকর্মের ফলে সমাজে ক্রাইম বেড়ে যাচ্ছে। যাদের কোমরে দড়ি বেঁধে লকাপে ঢোকানো উচিৎ, পুলিশ তাদের সাথে বসে চা খাচ্ছে। এসব দেখে লোকেদের পুলিশের ওপর থেকে ভরসাটাই নষ্ট করে দিয়েছে সরকার। তাই এখন পুলিশকে কেউ মানছেও না। তাই এখন একমাত্র যদি পুলিশ তার নিজের আসল মহিমায় ফিরে আসে তবেই সমাজে শান্তি বজায় থাকবে।।

তিনি আরও বলেন যে, 'মুখ্যমন্ত্রী অনেক কিছুই বলেন কিন্তু তার কথা কেউ শোনে না। বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আবহাওয়ায় রোগীদের বিল ১৫-২০ লাখ টাকা পর্যন্ত আসছে, যা আমাদের কল্পনারও বাইরে। আবার এদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন যে দুনিয়াকে বলে দিতে যে তারা বিনামূল্যে কোভিড চিকিৎসা করাচ্ছে। যেখানে হাসপাতালে বেড নেই, না আছে ভালো পরিকাঠামো, যার জন্য কোভিড রোগীরা বেঘোরে মারা যাচ্ছে।

দিলীপ বাবুকে তার চা চক্র সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'তার চা চক্র এখন প্রতিটি খবরের হেডলাইনে, তিনি লোকের সাথে একসাথে ফুটপাতে বসে চা খান, তাদের সমস্যার কথা শোনেন। তিনি বলেন,‌ একজন নেতার পক্ষে লোকেদের সাথে যোগাযোগ রাখার সবচেয়ে অভিনব উপায় হল এটি।