জানা গেছে, স্ত্রী সহ ২ সন্তান নিয়ে সংসার অজিত বাবুর। গত ৩রা আগস্ট নিজের সোয়াব টেস্ট করেছিলেন তিনি। ৫ তারিখে রিপোর্ট এলে তার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এর পরেই ৬ তারিখ বুনিয়াদপুরের রশিদপুর আইটিআই কলেজের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। এদিন সকালে ওই সেন্টারে দাদাকে দেখতে এসে এমন দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষ করেন ভাই সুশান্ত মাহাতো। সেন্টারের কাছে জঙ্গলের মধ্যে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন দাদাকে। যার পরে তড়িঘড়ি তাকে পরিষ্কার জায়গায় এনে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের খবর দেন পেশায় সিভিক কর্মী সুশান্ত মাহাতো। চিকিৎসক পৌঁছালে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় কোয়ারেন্টিন সেন্টারের সকলের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
তবে মৃতের ভাই সুশান্ত মাহাতোর ঘনিষ্ট মহল সুত্রে জানা গেছে, কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ভাইকে দেখতে এসে তার কাছে পরিষেবা নিয়ে অব্যস্থার কথা শুনেছেন সুশান্ত। তাদের আরও অভিযোগ, তবে কি কারনে এমন ঘটনা ঘটলো তা স্পষ্ট নয়। ঘটনা তদন্ত হওয়া জরুরি।
ঘটনা নিয়ে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মনোতোষ মন্ডল জানিয়েছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এমন মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তিনি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছেন স্ত্রী সহ দুই সন্তান নিয়ে সংসার অজিত মাহাতোর। করোনা পজিটিভ জেনে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তবে তাদের তরফে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হচ্ছে। রোগীদের যাতে কোন অসুবিধা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখছেন তারা।
No comments:
Post a Comment