হেমতাবাদের বিধায়কের রহস্য মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে এভাবেই সুর চড়ালেন দিলীপ ঘোষ। তিনি এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, "আমরা সিবিআই তদন্তই চাইছি। তার কারণে সুপ্রিম কোর্টে কেস হয়েছে। কোর্ট কেস নিয়েছে। শুনানি হবে। আমরা জানি এটা হত্যা। কে হত্যা করেছে সেটা সবাই জানে সাধারণ মানুষের মুখে আছে সেই নাম। কে সুইসাইড নোট লিখে তার পকেটে দিয়েছে সেটাও সবাই জানে। কিন্তু পুলিশ জানে না, সরকার জানে না। তাই চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সত্য তখনই সামনে আসবে যখন সিবিআই তদন্ত হবে। বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার জন্য এটা রাজ্য সরকারের পলিসি। সেই জন্য মানুষের মনের মধ্যে ভয় এবং অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সিবিআই তদন্ত হলে সত্য সামনে আসলে মানুষ সাহস পাবে। আগামীকাল আমার হেমতাবাদ যাওয়ার কথা আছে পরিবারের সাথে এবং এলাকার মানুষের সাথে দেখা করবো কথা বলবো।" আজ মালদায় সাংগঠনিক বৈঠক করেন তিনি। বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই দাবী করেন।
এছাড়াও কৃষকদের প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন, "প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। কিন্তু বাংলার কৃষকরা সব সুবিধা এইজন্য পাবেনা কারণ এখানকার সরকার চায় না কৃষকরা সুবিধা পাক। যেসব রাজ্য সরকার লিস্ট পাঠিয়েছিল সেইসব কৃষকরা আট হাজার টাকা করে সাহায্য পেয়েছেন। বাংলার সরকার না লিস্ট পাঠিয়েছেন, না কিছু পাঠিয়েছেন। সেইজন্য পাননি।"
এরপর যাদবপুরের ছাত্রীর ওপর হামলা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "বিজেপি কোন আক্রমন করে, না বলে না। আমাদের পেটানো হচ্ছে। যাদবপুরে চিরদিনই বন্দেমাতরামের বিরোধিতা হয়েছে, পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান উঠেছে আমরা কিছু করেছি কি! যেটা করবে দেশের সরকার আছে, আইন আছে, পুলিশ আছে তারা করবে। পুলিশ ওখানে যাবে না, করবে না আমরা জানি। জেএনইউতে পুলিশ গেছে। যারা ওখানে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলেছিল কাশ্মীর থেকে টুকরে হোঙ্গে বলেছিল তারা এখনও অনেকে জেলের ভাত খাচ্ছে। পশ্চিম বাংলায় মনে হয় বেশি দিন এই ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী গতিবিধি চলবে না। সমাজের লোক এই ধরনের জিনিস সহ্য করছেন না তাই হয়তো হচ্ছে। সেই দিন টা পাল্টে গেছে। তাই যারা এই ধরনের পোস্ট করছেন তারা সাবধান থাকুন।
No comments:
Post a Comment