সাংবাদিকতার কাজ করাই কি আমার অপরাধ !

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা: কথায় বলে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম এবং জনগণের কণ্ঠস্বর। সমাজের সমস্ত পরিস্থিতির কথা জনসমক্ষে তুলে ধরেন সাংবাদিকেরা। যদি সমস্ত তথ্য সংবাদ মাধ্যমে পরিবেশিত না হয়,  তাহলে হয়তো অন্ধকারে ডুবে থাকতে হতো সাধারণ মানুষকে।

সাংবাদিকতার কাজ করাই কি আমার অপরাধ ! 

এদিন এক মালদা জেলার এক সাংবাদিকের ছোট্ট মেয়ে যখন গৃহ শিক্ষকের কাছে পড়তে যায়, তখন তাকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়। নেপথ্যে অন্যান্য পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। কেন জানেন ? মালদার একজন  সাংবাদিক। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করে এটাই কি তার দোষ। আর সেই দোষের ভাগিদার হচ্ছে‌ তার মেয়ে। 

মানুষকে সত্যতা এবং সঠিক দিকটা দেখানোযই সাংবাদিকদের কর্তব্য। কিন্তু এভাবে তার ছোট্ট মেয়েকে  গৃহশিক্ষকের ব্যাচে এক ঘরোয়া করে রাখা , সেটা কি উচিৎ। এর উত্তর আপনারাই দেবেন । এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী দিনে করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে না সাংবাদিক , না চিকিৎসক,  না পুলিশ, না স্বাস্থ্যকর্মী কেউ হয়তো এগিয়ে আসার সাহস পাবে না।

মানুষকে সচেতন হতে হবে। বরঞ্চ জনস্বার্থে যেভাবে সাংবাদিকেরা মাঠে, ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তাদের সাধুবাদ জানানো উচিৎ। কিন্তু তা না করে আমার খুদে মেয়ের উপর বঞ্চনা করা হচ্ছে।

ওই সাংবাদিকের মেয়েকে দূরে থেকে, তাকে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে হচ্ছে‌। অন্যান্য কচিকাঁচারা অবশ্য একসাথেই থেকে আনন্দ উপভোগ করে, পড়াশোনা করছে। জানি না এতে অন্যরা কতটা সচেতন। তবে একজন সাংবাদিকের কর্তব্য এবং দায়িত্ব সঠিক তথ্য তুলে ধরা এবং  মানুষকে জীবনে চলার ক্ষেত্রে অবগত করা। যা সাংবাদিকেরা চিরদিন করে এসেছে,  অদূর ভবিষ্যতেও করে যাবে।